• শিক্ষাকর্মীদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, চাকরিহারা গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা মমতার
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: এসএসসির গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র কর্মীদের আপাতত ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন শিক্ষাকর্মীরা।

    উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার জনের। তার মধ্যে রয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। তবে মধ্যশিক্ষা পর্যদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্ট ফের নির্দেশ দেয় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন একমাত্র তারাই যারা টেনইটেড নন। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের তরফে।

    সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশের ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল যে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা এই মাস থেকে বেতন পাবেন না। কারণ সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নির্দেশে গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়েছিল। ফলে প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিলেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা। এরকম এক পরিস্থিতিতে নবান্নে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই মুখ্য়মন্ত্রী ফোনে বলেন, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা একটা আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়বেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকার একটি রিভিউ পিটিশন করছে এবং তার থেকে কোনও রায় বেরিয়ে আসছে ততদিন পর্যন্ত রাজ্যের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্কিম থেকে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির একটা মাসিক ভাতা দেওয়া হবে যদি তারা রাজি থাকেন। এক্ষেত্রে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির কর্মীদের যথাক্রমে ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন মানবিকতার কারণে ওই ভাতা দেওয়া হবে।

    মুখ্যমন্ত্রী এদিন ফোনে বলেন, আমরা রিভিউ পিটিশনে যাব। শিক্ষকদের জন্য যেমন যাব তেমনি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্যও যাব। কথা দিচ্ছি আমাদের সরকার গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং শিক্ষক সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করবে। রিভিউ করতে করতে হয়তো আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ হয়ে যেতে পারে। যত দিন রিভিউ না হচ্ছে এবং যতদিন একটা ফয়সলা না হচ্ছে ততদিন গ্রুপ সি-র যারা আছেন তাদের তাদের ২৫ হাজার টাকা করে এবং গ্রুপ ডি-র যারা আছেন তাদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

    এনিয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। সরকারের অপরাধের জন্য ওদের চাকরি চলে গেল। তাতে যদি কিছু একটা পাওয়া যায় তা ঠিক আছে বলে ওরা মনে করছেন। ওদের হকের চাকরির জন্য সরকারের উচিত ছিল রিভিউ পিটিশন করা। এই নাকের বদলে নরুণ দিলাম এটা আইনিভাবে ঠিক হবে কিনা কিংবা তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অবমাননা হবে কিনা তা না ভেবেই শিক্ষাকর্মীদের বিপদের মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন কিনা, সেই প্রশ্ন উঠবেই। রিভিউ পিটিশন করে উনি বলতে পারতেন যাদের চাকরি গিয়েছে তাদের বেশিরভাগটাই যোগ্য। সরকারের ব্যবস্থাপনার জন্য আপনি আমাকে শাস্তি দিন, ওদের শাস্তি দেবেন না।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)