জঙ্গি হামলায় হারিয়েছে বাবাকে, পুরুলিয়ার মণীশরঞ্জনের সন্তানদের শিক্ষার দায়িত্ব নেবে কুশল এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন
প্রতিদিন | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জঙ্গি হামলায় নিহত আইবি অফিসার, পুরুলিয়ার মণীশরঞ্জন মিশ্রের
ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল কুশল এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন। কুশল ভারত গ্রুপের আওতায় থাকা ট্রাস্ট কুশল এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন এই বিষয়টি ঘোষণা করেছে। নিহত মণীশের দুই নাবালক সন্তানের শিক্ষাই শুধু নয়, তাদের বড় হওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছে এই ট্রাস্ট। তাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে স্বজনহারা পরিবারে।
কুশল এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নরেশ আগরওয়াল বলেন, “কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তাতে সমগ্র দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আজ আমাদের মন ভালো নেই। ওই ঘটনায় পুরুলিয়ার ঝালদার মণীশরঞ্জন মিশ্র মৃত্যুবরণ করেছেন। আইবি অফিসারের দুই নাবালক ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার ব্যবস্থা করছি আমরা। কুশল এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন তাদের লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে। তাদেরকে আমরা আমাদের দিল্লি ওয়ার্ল্ড পাবলিক স্কুলে ভর্তি করার জন্য আবেদন করব। তাদের পাশে আমরা সবসময় থাকব।” নিহত মণিশরঞ্জনের স্ত্রী জয়া মিশ্রর বাবা শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠকে পাশে পেয়ে মেয়ে জয়ার চাকরির দাবি জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও স্কুলে যাতে তাকে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়া যায় সেই আর্জি জানান তিনি। এতে সম্মতি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবার নিহতের ছেলেমেয়ের পড়াশোনার সমস্ত খরচ জোগাতে এগিয়ে এল কুশল এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন।
গত ২২ এপ্রিল জঙ্গিহানায় প্রিয়জনকে হারানোর অভিঘাত এখনও পর্যন্ত সামলে উঠতে পারেননি মণীশরঞ্জনের স্ত্রী জয়া দেবী। আতঙ্ক কাটছে না ছেলেমেয়েরও। শনিবার মনীশরঞ্জনের বাড়িতে এসে সমবেদনা জানান ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আজসু দলের প্রধান সুদেশ মাহাতো।
এদিন তিনি মনীশের বাবা মঙ্গলেশ মিশ্রের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ১২ বছরের ছেলে সমৃদ্ধকে কোলে তুলে নেন । তার কাছে জানতে চান ঘটনার বিবরণ। কিছুক্ষন কথা বলেই ছেলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন মণীশের বাবা। আজসু প্রধান ওই পরিবারকে জানান, জঙ্গি দমনে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ শুরু করেছে। তিনি তাদের পাশে রয়েছেন।এদিন নিহত মণীশরঞ্জনের স্মরণে পথে নামেন সাধারণ মানুষজন। মিছিল শেষে মোমবাতি জ্বালান নিহতের বাড়ির সামনে।