• ইংরেজির বদলে সরকারি কাজের ভাষা হোক হিন্দি, প্রস্তাব দিল সংসদীয় কমিটি
    প্রতিদিন | ০৯ অক্টোবর ২০২২
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি (Hindi) বনাম আঞ্চলিক ভাষা বিতর্ক আজকের নয়। সাম্প্রতিক অতীতে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে হিন্দির পক্ষে সওয়াল করছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবার সামনে এল আরেক তথ্য। জানা গিয়েছে, শাহর নেতৃত্বাধীন সরকারি ভাষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ রাষ্ট্রসংঘ থেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বা আইআইটিতে শিক্ষাদান, এমনকী হিন্দিভাষী রাজ্যের হাই কোর্ট- সর্বত্র হিন্দিই ব্যবহৃত হোক ইংরেজির পরিবর্তে।

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি, কমিটির ওই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাষ্ট্রপতির কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে। ঠিক কী সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে? সেখানে পরিষ্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সরকারি ভাষা হোক হিন্দি। আবার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে আইআইটি ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে শিক্ষাদানের ভাষাও হিন্দিই হোক। পাশাপাশি হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে হাই কোর্টের কাজের ভাষাও করা হোক হিন্দিকে। এছাড়াও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ইংরেজির জায়গায় এবার থেকে হিন্দি রাখতে হবে। এমনই নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে।

    পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, যে সব সরকারি কর্মী ও আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে হিন্দিতে কাজকর্ম এড়িয়ে যান, তাঁদের থেকে ব্যাখ্যা চাইতে হবে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে বার্ষিক পারফরম্যান্স রিপোর্টে সেটার উল্লেখও রাখতে হবে বলেও দাবি করেছে কমিটি। গত মাসেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    কমিটির আরও প্রস্তাব, সরকারি বিজ্ঞাপনের ৫০ শতাংশেরও বেশি হোক হিন্দি বিজ্ঞাপন। পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষাতে বিজ্ঞাপনেও জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। পাশাপাশি কমিটি এও প্রস্তাব দিয়েছে যে, হিন্দিভাষায় বিশেষ পারদর্শিতা থাকা প্রয়োজন এমন কোনও কোনও সরকারি পদ যদি তিন বছরের বেশি সময় ধরে শূন্য হয়ে থাকে, তাহলে এর জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানকে দায়ী করা হবে। এবং সেটা তাঁর বার্ষিক পারফরম্যান্স রিপোর্টেও উল্লেখ করতে হবে।

    উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সরকারি কাজে এবং যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দির ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে অমিত শাহ সওয়াল করার পর দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে তীব্র নিন্দায় মুখর হতে দেখা গিয়েছিল। বিরোধীরাও সমালোচনা করেছিল বিজেপি সরকারের।
  • Link to this news (প্রতিদিন)