সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: সেনার পোশাক পরা নিষিদ্ধ আমজনতার! তারপরেও নিয়ম মানে না অনেকেই। এবার সেই সেনার পোশাকেই কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তারপর থেকেই নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত জেলা নদিয়ায় দেদার বিক্রি হচ্ছে জলপাই রঙা ইউনিফর্ম। এই বিকিকিনি নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে জেহাদিরা সেনার পোশাকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। হামলাও চালাতে পারে। তাই তাদের দাবি, নজরদারি চালিয়ে বন্ধ করা হোক সেনার পোশাক বিক্রি।
নদিয়ায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার অংশজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের ওপাড়ের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর থেকেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বেড়েছে। তাদের মদত দিচ্ছে ভারতীয় দালাল চক্র। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের অভিযোগ, কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের যে অশান্তি হয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে এই অনুপ্রবেশকারীরা। এদিকে কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার পর এবার রাতের ঘুম উড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের। আশঙ্কা, যদি এখানেও হামলা হয়। উপরন্তু যেভাবে খোলা বাজারে সেনার উর্দি বিক্রি হচ্ছে, তাতে আশঙ্কা আরও বেড়েছে। বহাল তবিয়তে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে পুলিশ লাইনের সামনে দেদার বিক্রি হচ্ছে সেনাবাহিনীর পোশাক। কাশ্মীরের মতো নদিয়া তথা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে সেনাবাহিনীর পোশাক পড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে না এটা কি কেউ বলতে পারে! স্থানীয় বাসিন্দা রূপকুমার ঘোষের কথায়, “সেনার পোশাক পরে অনুপ্রবেশকারী যদি হামলা চালায় আমরা বুঝব কীভাবে? এই পোশাক বিক্রি বন্ধ করা উচিত।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা অমান্য করে দেদার বিক্রি হচ্ছে ভারতের সেনাবাহিনীর পোশাক। অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের কোনও নজর নেই । স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে স্বপনকুমার ভৌমিকের প্রতিক্রিয়া, “কবে ঘুম ভাঙবে পুলিশের? সেনাবাহিনীর পোশাক যারা বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় পুলিশ প্রশাসন সেটাই দেখার। যদি তা না হয় কাশ্মীরের মতো নদিয়ার সীমান্তেও যে এরকম ঘটনা ঘটবে না তার গ্যারান্টি কে দিতে পারে?”