কাশ্মীরের পহেলগাওয়ের ঘটনায় পর তপ্ত গোটা দেশ। দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে সমস্ত মহল থেকেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ‘জাস্টিস’ চেয়ে সরব নেটিজ়েনরা। কিন্তু এরই মধ্যে শোরগোল পড়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার ভাণ্ডার খোলা গ্রামের রানা বিশ্বাস নামে এক যুবকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে।
একটি পোস্টে রাইফেলধারী কয়েকজনের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন রানা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভাইলোগ’। এর পরেই প্রশ্ন উঠছিল, তাঁর সঙ্গে কি তবে জঙ্গিযোগ রয়েছে? সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের শিকার হচ্ছেন রানাও। কিন্তু কেন এই পোস্ট করেছিলেন তিনি? তা জানার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা। ইতিমধ্যেই রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ জানুয়ারি কাজের জন্য দুবাই পাড়ি দিয়েছিলেন রানা বিশ্বাস নামে এক যুবক। সোনার দোকানে কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে গিয়ে মেলে ঝাড়ুদারের কাজ। সেই কাজ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখে তিনি ফিরে আসেন। সেই সময়েই এই ছবিগুলি তুলেছিলেন রানা।
জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে এক বধূর সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিলেন রানা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে ফিরে আসতে হয়েছিল গ্রামেই। সেই সম্পর্কও টেকেনি। আর সেই জন্যই গ্রামের অনেকের প্রতি রাগ ছিল রানার। তাঁদের ভয় দেখানোর জন্য নিজেকে প্রভাবশালী দেখানোর চেষ্টাও করতেন তিনি, জানতে পেরেছে পুলিশ। আর সেই জন্যই ফেসবুকে এই ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করতেন।
রানার সঙ্গে কোনও জঙ্গিযোগ রয়েছে কি না তা জানার জন্য তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।