৪৮ ঘণ্টা পার। কিন্তু এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি পাকিস্তানি সেনার কাছে বন্দি ভারতের সেনা জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউয়ের। ছেলের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় নাওয়া খাওয়া ভুলে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে তাঁর পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে রিষড়ার বিএসএফ জওয়ানের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউয়ের সঙ্গে BSF-এর ডিজির কথা বলিয়ে দেন কল্যাণ।
ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানের রিষড়ার বাড়িতে শনিবার সন্ধ্যায় যান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি নিজের ফোন থেকে BSF-এর ডিজিকে ফোন করেন। পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউ ডিজির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি ফোনে ডিজিকে জানান, ছেলের এই খবর শোনার পর থেকেই তাঁর মা ও বৌমা মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন।
BSF-এর ডিজির সঙ্গে কথা বলার পর কী বললেন পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউ? তিনি বলেন, ‘গত চারদিনে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। সরকার আমার পাশে রয়েছে। তাদের আমরা ভরসা করি। তারা যেন আমার ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ভরসা রাখতে। দু’চার দিনের মধ্যে আমার ছেলে ছাড়া পেয়ে যাবে। ডিজির সঙ্গে কথা বলে এখন আমার ভালো লাগছে। এ বার কিছুটা ভরসা পাচ্ছি।’
পূর্ণমের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘আমাদের এখন কেন্দ্রীয় সরকার ও BSF-এর উপর ভরসা রাখতে হবে। আমি মনে করি BSF, আর্মি, সরকার সবাই মিলে নিঃসন্দেহে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। তবে দু’চারদিন দেরি হতে পারে। এটাই আমাদের ভরসা। আশা করি ফিরে আসবে। সোমবার দিল্লি গেলে আমি চেষ্টা করব ডিজির সাথে সাক্ষাৎ করার। পূর্ণমের পরিবার পাঠানকোট যাবে বলছে। ওঁর পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার।’
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে মোতায়েন ছিলেন BSF জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। বুধবার বিকেলে ডিউটির মাঝে তিনি একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ওই সময়েই তিনি ‘ভুল করে’ সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি। ওই BSF জওয়ানের মুক্তিরই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।