• ‘‌মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দিচ্ছেন, সিপিএমের উকিলরা জট পাকাচ্ছেন’‌, তোপ কুণালের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ করতে চায় রাজ্য সরকার। যাকে বলা হয় সুপার নিউমারিক পোস্ট। শারীর শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার ক্ষেত্রে তা করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এই অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। আর তাই এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট লিখিতভাবে তথ্য তলব করেছে। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি কাদের জন্য? জানতে চান বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরই মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের চেম্বার ঘেরাও করেন শারীর শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার শিক্ষকদের একাংশ। আজ শনিবার তাঁদের নিয়ে ছবি তুললেন কুণাল ঘোষ।

    ইতিমধ্যেই ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীদের চাকরি নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের চেষ্টায় যোগ্যরা স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর আজ আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মে মাসে রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্য সরকারের তৈরি সুপার নিউমোরিক পোস্টের ফলে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের অভিযোগ, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো কয়েকজন আইনজীবী সব বিষয়ে আদালতে এসে একাংশ শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর চাকরি খেতে উঠে পড়ে লেগেছেন। সেটারই প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন তাঁরা। কুণাল ঘোষ ওই শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে সিপিএমকে তুলোধনা করেন।


    মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী সকলেই চেষ্টা করছেন যাতে কারও চাকরি না যায়। সেখানে এই বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য চাকরি খেতে নেমে পড়েছেন। এমন অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিশানা করেছিলেন কদিন আগে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‌সিপিএম দ্বিচারিতা করছে। ওদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কিছু উকিল। এখন যাঁরা বিরোধিতা করছেন। সেই টাকা ওরা এখন ফেরত চান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন চাকরি দিচ্ছেন। কিন্তু সিপিএমের উকিলরা আদালতে সেটার বিরোধিতা করে জট পাকাচ্ছেন।’‌ এই মন্তব্য করে একাধিক ছবিও দেখান কুণাল ঘোষ।

    এসএসসি’‌র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করতে প্রায় ৬ হাজার অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দফতর। তাই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওই অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত নয়। তাই প্রয়োজন পড়লে মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলা খারিজ করে দেয়। কিন্তু চেম্বার ঘেরাও নিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‌যাঁরা লড়াই করে আইন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে শাসকদল দুর্নীতির পক্ষে যাঁরা আছেন তাঁদের লেলিয়ে দিচ্ছে। এই ঘটনায় আবার প্রমাণিত হল, এখানে আইনশৃঙ্খলা, সভ্যতা–ভদ্রতা কিছু নেই।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)