শনিবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ৩ নম্বর ব্লকের চন্দ্রকোনা রোড সংলগ্ন দুর্লভগঞ্জ এলাকায় এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত অবধি ওই মহিলার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে চন্দ্রকোনা রোড ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ স্থানীয় কয়েকজন একটি অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ পৌঁছে প্রাথমিক তদন্তের পর দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই মহিলার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। মৃতদেহের প্রায় ৯০ শতাংশই দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। মৃতদেহের পাশে একটি কেরোসিনের ব্যারেলও উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, চন্দ্রকোনা রোড সংলগ্ন দুর্লভগঞ্জ এলাকার একটি নির্জন স্থান ঠাকুরথান বলে পরিচিত। সেখানে বিশেষ তিথিতেই পুজো-অর্চনা হয়। বাকি সময়ে লোকজনের তেমন আনাগোনা থাকে না। এই ঠাকুরথানে মাঝবয়সী এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে ‘রহস্য’।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য শরীরে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়েছে?
জেলার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, ওই মহিলা আশপাশের কোনও এলাকার নন। কারণ, আশপাশের এলাকা থেকে গত কয়েকদিনে কোন মহিলা নিখোঁজ হয়নি বা থানায় এই ধরনের কোনও নিখোঁজ ডায়েরিও হয়নি।’ রবিবার দুপুরে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।