• মন্দির থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার কিনে পুলিসের জালে বিজেপি নেতা
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: চোরাই স্বর্ণালঙ্কার কেনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিজেপি নেতা। আর এ ঘটনায় নকশালবাড়িজুড়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। নকশালবাড়ি থানার পুলিস স্থানীয় একটি মন্দির থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে ওই বিজেপি নেতা সহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ এপ্রিল নকশালবাড়ির দয়ারামজোতের চড়ক পুজোর মন্দির থেকে উধাও হয় একটি সোনার চেন। যা নিয়ে চড়ক পুজোর কমিটির পক্ষ থেকে নকশালবাড়ি থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তে নেমে মধ্য কোটিয়াজোতের বাসিন্দা বাসুদেব পালের হদিশ পায় পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বর্ণব্যবসায়ী বিজেপি নেতা শ্যামল রায়ের নাম উঠে আসে। যাকে সে সোনা বিক্রি করেছিল। এরপর পুলিস নকশালবাড়ি স্টেশন মোড়ে অভিযানে নেমে শ্যামলের হেফাজত থেকে চুরি যাওয়া ৫ গ্রাম ওজনের সোনার ওই চেন উদ্ধার করে। 

    মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে কৌশিক বাড়ুই বলেন, বছর খানেক আগে এক ভক্ত সোনার চেনটি দান করেছিল। এ বছর চড়ক মেলায় সেটা প্রতিমার গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মেলা শেষে সেটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর আমরা নকশালবাড়ি থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করি। পুলিস চেনটি উদ্ধার করেছে। 

    এদিকে, ধৃত শ্যামল রায় বিজেপির নকশালবাড়ি মণ্ডলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। এতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। নকশালবাড়ি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পৃথ্বীশ রায় বলেন, যে দল ধর্মীয় আবেগ নিয়ে চলে সেই দলের লোক মন্দির থেকে চুরি যাওয়া অলঙ্কার কিনেছে। নেতা যদি দুর্নীতির কাজে যুক্ত থাকে, তাহলে সাধারণ কর্মীরা কী শিখবেন। 

    এদিকে, পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি। দলের নকশালবাড়ি মণ্ডল সভাপতি সাধন চক্রবর্তীর বলেন, বিজেপি একটি সর্বভারতীয় দল। সেক্ষেত্রে কোন সদস্য কোন পেশায় জড়িত তা নিয়ে দল দায়বদ্ধ নয়। ওই ব্যক্তি যদি অপরাধ করে থাকেন, তবে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। 

    নকশালবাড়ি থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, চুরির ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে চোরাই স্বর্ণালঙ্কার কেনার অপরাধে আরএকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)