• পানীয় জলের কষ্ট বাড়ছে, তিস্তার ঘোলা জলে প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: গরম পড়তেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে সিকিমের প্রবল বর্ষণ। সিকিমের লাগাতর বৃষ্টিতে তিস্তার জল ঘোলা হওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের আবর্জনা ভেসে আসছে। এই জলে ফুলবাড়িতে শিলিগুড়ি পুরসভার পানীয় জল প্রকল্প বসে যেতে পারে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। 

    শনিবার একথা জানান মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রেখেছি। তিস্তার ঘোলা জলে অতীতে আমাদের জল প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শহরে পানীয় জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছিল। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে সোমবার পূর্ত ও সেচদপ্তরকে নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

    এদিকে শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে। এদিন পুরসভার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নাগরিকরা মেয়রের কাছে জলকষ্টের কথা জানান। কেউ দাবি করেন ১০ দিন ধরে তাঁদের এলাকায় জল যাচ্ছে না। কারও অভিযোগ অনেকদিন ধরে এলাকায় জল মিলছে না। আবার কারও অভিযোগ, আশপাশের এলাকায় জল এলেও একটি নির্দিষ্ট এলাকায় জল যাচ্ছে না। কোথাও জল অনিয়মিতভাবে আসছে এবং খুব হালকাভাবে পড়ছে।

    এদিন মেয়র শহরের জলের সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। গজলডোবা জল নেওয়ার জন্য মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্প শেষ হতে কিছুদিন সময় লাগবে। শহরের জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

    শহরের এই জলের সমস্যার জন্য বামেদের দায়ী করেন মেয়র। তিনি বলেন, এই জল প্রকল্প তৈরির সময় বামেরা ভবিষ্যতের কথা ভাবেনি। শিলিগুড়ি পুরসভা ও রাজ্যে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও  ২৮ বছরের এই জল প্রকল্প সংস্কার করেনি। এই সমস্যার সমাধান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যতদিন মেগা জল প্রকল্পের কাজ শেষ না হচ্ছে ততদিন শহরবাসীর জলকষ্ট দূর করতে বিকল্প উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শহরবাসীর যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। নতুন করে আটটি ডিপ টিউবয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে ১০টি জলের ট্যাঙ্ক কিনেছি। যেখানে জল যাচ্ছে না সেখানে ট্যাঙ্কে করে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। যাতে নাগরিকদের জল কষ্টে পড়তে না হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)