জেলাজুড়ে লো ভোল্টেজের সমস্যা, ফ্যান না ঘোরায় গরমে কাহিল মানুষ
বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গরম বাড়তেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লো ভোল্টেজের সমস্যা। জেলাজুড়ে গত কয়েকদিনের গরমে হাঁসফাঁস দশা সাধারণ মানুষের। অভিযোগ, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে ঘরের ফ্যানও ঘুরছে না। জেলাজুড়ে কমবেশি এলাকায় লো ভোল্টেজের সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকলেও সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এখন জমিতে জলসেচ করতে চালু থাকছে পাম্প। গরমের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ভোল্টেজ জনিত সমস্যা। জানা গিয়েছে, ট্রান্সমিশনের সমস্যার কারণেই লো ভোল্টেজ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৭৮ মেগাওয়াট। ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৮৪ মেগাওয়াট।
বিদ্যুত্ বণ্টন কোম্পানি সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থেকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ভোল্ট বিদ্যুত্ আসার কথা কুশমণ্ডি স্টেশনে। সেখানে আসছে
মাত্র ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার ভোল্ট। সেটা আবার ট্রান্সমিশন হয়ে সরবরাহ করার সময় কমে যাচ্ছে।
অপরদিকে মালদহের গাজোল থেকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ আসার কথা গঙ্গারামপুর স্টেশনে। সেখানেও কম পরিমানে বিদ্যুত্ আসছে। ফলে লো ভোল্টেজ জনিত সমস্যা থেকে যাচ্ছে। ট্রান্সমিশন হওয়ার পর ২৪০ ভোল্ট বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর কথা থাকলেও পৌঁছচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ ভোল্ট। এতে ফ্যান ঠিকমতো না ঘোরায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে দপ্তরে এসি মেশিনের জন্য লোড পারমিশন করলেও পর্যাপ্ত ভোল্টেজ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এমনটাই অভিযোগ।
জেলা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার শুভময় সরকার বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আমাদের জেলাতে যা পরিকাঠামো রয়েছে, সেইমতো চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে। কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা কাজ করছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
কুশমণ্ডির গ্রাহক মঞ্জুরুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা আমাদের কাছে নির্দিষ্ট বিদ্যুতের মাসুল নিচ্ছে। অথচ পরিষেবা ঠিক করে পাচ্ছি না। গরমে ফ্যান ঘুরছে না। হাত পাখা নিয়ে মাঠে গিয়ে বসতে হচ্ছে। গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দা সর্বজিৎ গুহ বলেন, গঙ্গারামপুর শহরের বুকে একদিকে লো ভোল্টেজ অপরদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুত্ বিভ্রাট। গরমে বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম সমস্যা পড়েছে।