• কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিকল্প ক্যাম্পাস’ হিসেবে চান উপাচার্য
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পতিরাম: দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন জেলাশাসক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত জায়গার পাশেই কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে বিকল্প ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিলেন উপাচার্য। কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিতরেই রয়েছে পুরনো নবোদয় বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। উপাচার্যের কথায়, ওই জায়গাটি পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস হিসেবে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। তবে একইসঙ্গে আরও একাধিক জায়গা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে এখনও সুরাহা হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ডিএম বিজিন কৃষ্ণা বলেন, নতুন ক্যাম্পাস খুঁজে পেতে আমরা উপাচার্যকে সমস্ত রকমভাবে সাহায্য করব।   

    উপাচার্য প্রণব ঘোষ বলেন, আমরা নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা পাইনি। আজকের বৈঠকে মাহিনগরের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চেয়েছি। ওই জায়গাটি পেলে পড়ুয়াদের অনেকটাই সুবিধা হবে। আরও অনেক জায়গা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী শীঘ্রই নতুন জায়গা পাব। 

    নতুন শিক্ষাবর্ষে আরও নতুন বিষয় চালু করতে চাইছে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের পথে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে পরিকাঠামো। পরিকাঠামোগত অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যত থমকে রয়েছে। নির্ধারিত জায়গায় এখনও প্রাচীর ছাড়া কিছুই হয়নি। বর্তমান জায়গাতেও কিছুতেই উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিকল্প জায়গার জন্য বালুরঘাটে হন্যে হয়ে ঘুরছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আপাতত ক্লাসরুম, অফিস ও ক্যাম্পাস চেয়ে বিকল্প জায়গার জন্য জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিকল্প ক্যাম্পাস’ নিয়ে  বৈঠক হয়। শনিবার জেলাশাসকের চেম্বারেই উপাচার্য, জেলার পূর্ত দপ্তর ও অন্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়। 

    বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাহিনগরের যে জায়গা নির্ধারণ হয়েছে, সেখানে প্রাচীর ছাড়া কিছুই হয়নি। নতুন উপাচার্য এসে ওই জায়গাতেই কাজ শুরুর জন্য রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। যেহেতু ওই জায়গায় এখন ভবন তৈরি হলেও কম করে তিনবছর সময় লাগবে। তাই আপাতত নতুন পরিকাঠামো যুক্ত একটি জায়গা চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। বালুরঘাটের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের জন্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তা খারিজ করেছে রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। তাই নতুন জায়গা খুঁজছে বর্তমান উপাচার্য। নতুন ক্যাম্পাস পেলে নতুন বিষয় থেকে শুরু করে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে সুবিধা হবে বলে মত উপাচার্যের।
  • Link to this news (বর্তমান)