কুম্ভমেলায় গা ঢাকা দিয়েছিল বাবলা খুনে অভিযুক্ত রোহন
বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা মালদহ: তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের অন্যতম মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন গ্রেপ্তার হতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিসের। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ধরণের কিছু তথ্য তুলে ধরেন মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব সহ অন্য পুলিস আধিকারিকরা। বাবলা সরকারকে খুনের পর বিহারে পালায় রোহন। সেখান থেকে সে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিল কুম্ভ মেলাস্থলে। পরে পালিয়ে যায় জয়পুরে। সেখানে শ্রমিকের কাজ করে সে। এরপরে লুকিয়ে মালদহে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তার। এদিকে তক্কে তক্কে ছিল পুলিসও। নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেতেই ফাঁদ পাতে জেলা পুলিস। বিহার পুলিসের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছিল মালদহ পুলিস। বাড়ি ফেরার পথে ফের বিহারে আশ্রয় নিয়েছিল রোহন। বিহারের কাটিহারের পুলিস তার ছবি মালদহ পুলিসকে পাঠাতেই তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এরপরেই গ্রেপ্তার করা হয় রোহনকে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিস সুপার বলেন, আরেক পলাতক অভিযুক্ত বাবলু যাদবের সন্ধানেও তল্লাশি চলছে। আমাদের হাতে বেশ কিছু তথ্যও এসে পৌঁছেছে। আমরা খুব দ্রুত বাবলুকেও গ্রেপ্তারের বিষয়ে আশাবাদী।
শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে রোহনকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইংলিশবাজার পুলিস। মালদহের পুলিস সুপার বলেন, অন্য ধৃতদের কাছে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে রোহনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যও পাওয়া গিয়েছে। আমরা আপাতত তার বক্তব্য শুনছি। কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্ন করা হচ্ছে। পরে প্রয়োজন হলে আমরা অন্য ধৃতদের ফের পুলিস হেফাজতে নিয়ে রোহনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারি।
উল্লেখ্য, ২ জানুয়ারি মালদহ শহরের মহানন্দাপল্লি এলাকায় খুন হন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার। রোহন ওই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত। ঘটনার পরেই পালায় সে। বাবলুও গা ঢাকা দেয়। দুইজনের গ্রেপ্তারিতে সহায়তা করার জন্য ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিস।