• ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে মিটল জমিজট, আজ থেকে ভূতনিতে বাঁধ নির্মাণ শুরু
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: অবশেষে ভূতনিতে বাঁধ নির্মাণে জমিজট কাটল। জেলাশাসক এবং বিধায়কের উপস্থিতিতে শনিবার মানিকচক ব্লকে প্রশাসনিক বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর কাজে সম্মতি দিলেন জমিদাতারা। খুব শীঘ্রই তাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। রবিবার থেকে বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়ে যাবে। ভূতনীর কেশরপুর কালুটোলায় জমিজটকে কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ বাঁধ নির্মাণের কাজ। বাঁধ নির্মাণে যে জমির প্রয়োজন তার ১৯০০মিটার জমিই রায়তি। সেই জমির ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করতে দিতে নারাজ চাষিরা। এমনকি সেচদপ্তরের কর্মী এবং আধিকারিকরা কাজ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। এই ঘটনা ঘিরে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের উপস্থিতিতে জমিদাতাদের নিয়ে প্রশাসন বৈঠকে বসে। শেষমেশ এদিন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র, অতিরিক্ত জেলাশাসক দেবাহুতি ইন্দ্র, বিডিও অনুপ চক্রবর্তী সহ সেচদপ্তরের আধিকারিক ও জমিদাতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় বৈঠক। জমিজট সম্পর্কে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন জেলাশাসক। সেখানে জেলাশাসক জমিদাতাদের সামনে তুলে ধরেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ক্যাবিনেটে পাশ হওয়া জমির ক্ষতিপূরণের কাগজ। জমিদাতাদের জানান, ইতিমধ্যে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা সেচ জেলা প্রশাসনের কাছে এসে পৌঁছেছে। শীঘ্রই জমির মাপযোক করে প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হবে। সেই কাগজ দেখে ও আশ্বাস পেয়ে কাজে সম্মতি দেন জমিদাতারা। 

    এবিষয়ে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ভূতনির রিংবাঁধের জমি জটের সমস্যা মিটেছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণের টাকা ইতিমধ্যে পাঠিয়েছেন। আগামী একমাসের মধ্যেই টাকা জমিদাতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। চাষিরাও আমাদের সম্মতি দিয়েছেন। রবিবার থেকে দ্রুত গতিতে শুরু হবে বাঁধ নির্মাণের কাজ। সঠিক সময়ে সেই কাজ শেষ হবে।

    এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে খুশি ভূতনি এবং রতুয়ার চাষিরা। এবিষয়ে রামলাল চৌধুরী বলেন, জেলাশাসক এবং বিধায়ক ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কাগজ দেখিয়েছেন। কাজ শুরু করতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। দ্রুত কাজ শুরু না হলে সময় শেষ হবে না। যার জেরে আবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই কারণে আমরা জেলাশাসক ও বিধায়কের আশ্বাস কাজে সম্মতি দিয়েছি।

    এবিষয়ে বিধায়ক বলেন, আগেই বলেছি ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার। সেইমতো সেচদপ্তরের চিফ সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ভূতনির বিল ক্যাবিনেটে পাশ করিয়েছি। এদিন জমিদাতাদের সামনে সেই কাগজ তুলে ধরেন জেলাশাসক। তাঁরাও আশ্বস্ত হয়েছেন। রবিবার থেকেই জমি মাপজোক শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)