• কাশ্মীরে তেহট্টের সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে বিজেপি নেতার অডিও ভাইরাল
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: ভোটের রাজনীতিই দেখতে হবে। তেহট্টের সেনা জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে এমনই কথা শোনা গেল কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের মুখে। দলের এক কর্মীর সঙ্গে তাঁর এই কথোপকথন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও ‘বর্তমান’ সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। শহিদ জওয়ানের ধর্মীয় পরিচয় নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় বিজেপির জেলা সভাপতিকে। শনিবার শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের শেষযাত্রায় দেখা যায়নি কোনও বিজেপি নেতাকে। সেই নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জলঘোলা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, শহিদ জওয়ানের ধর্মীয় পরিচয়ই কি দেশের জন্য তাঁর আত্মত্যাগকে বিজেপি নেতারা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না? সম্প্রতি বিজেপি জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁর দলের এক কর্মীর ফোনে কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। কথোপকথন শুনে বোঝা যাচ্ছে, সেটা তেহট্টের জওয়ান শহিদ হওয়ার দিনের অডিও। সেই অডিওতে দলের কর্মী জেলা সভাপতিকে বলছেন, ‘আমাদের পাথরঘাটা এলাকার একজন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। আমাদের দলের তরফের তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর জন্য তো যাওয়া দরকার ছিল।’ তা শুনে জেলা সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘ওখানে গেলে কি একটা ভোট বেশি হবে? তা শুনে বিজেপির কর্মী শহিদ জাওয়ান নিয়ে ভোট রাজনীতিতে আপত্তি জানান। তার উত্তরে জেলা সভাপতি বলেন, ভোটের রাজনীতিই দেখতে হবে এখন।  যদিও এনিয়ে জেলা সভাপতিকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমিও অডিওটা শুনেছি। কিন্তু ওটা ফেক। আমার যদি সেরকম মানসিকতা থাকত, তাহলে আমি শহিদ জওয়ানের বাড়ি যেতাম না। একটা দুষ্ট চক্র আমার বদনাম করার জন্য এমনটা করছে। আমি সাইবার থানায় অভিযোগ জানাব।’ শনিবার সকালে শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের মৃতদেহ তেহট্টের পাথরঘাটায় আসে। তাঁর শেষযাত্রায় ভিড় উপচে পড়ে। সেই দৃশ্য দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন জেলার বাসিন্দারা এদিন শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর লোকসভার তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেতা এস এম সাদি প্রমুখ। কিন্তু সেখানে বিজেপির কোনও নেতা নেত্রীকে দেখা যায়নি। যদিও এই নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, আমাদের স্থানীয় কার্যকর্তারা ছিলেন।  তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে দেশপ্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই। ওরা মুখে যে দেশপ্রেমের কথা বলে তা সবটাই ভণ্ডামি। এরজন্য ইতিহাস সাক্ষী আছে। বিজেপির জেলা সভাপতির এই বক্তব্য আবার সেটাই প্রমাণ করল। বিজেপি শুধু রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)