• ফ্রিজারে রাখা সত্ত্বেও দেহে পচন, বাঁকুড়ায় নার্সিংহোমে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: ফ্রিজারে সংরক্ষিত করা সত্ত্বেও মৃতদেহে পচন ধরে গিয়েছে। এঘটনায় ক্ষুব্ধ মৃতের আত্মীয় ও পড়শিরা বাঁকুড়া শহরের একটি নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফ্রিজারের তাপমাত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় গলদ থাকার কথা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। সেই কারণেই দেহে পচন ধরেছিল বলে তারা জানিয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এঘটনায় বাঁকুড়া সদর থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।

    মৃতের আত্মীয় নিশা চৌধুরী বলেন, বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধ এলাকার বাসিন্দা আমার মেসোমশাই শুক্রবার ভোরে হৃদরোগে মারা যান। মাসি ও তাঁর ছেলেমেয়ে বাইরে থাকে। তাঁদের শহরে পৌঁছতে একদিন সময় লাগে। সেজন্য বাড়ি থেকে দেহ এনে পাটপুরের ওই নার্সিংহোমে রেখেছিলাম। ঘণ্টায় ৩০০টাকা ভাড়া দিয়ে দেহ সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এদিন মাসিদের নিয়ে ওই নার্সিংহোমে যাই। কর্তৃপক্ষ আমাদের সাতহাজার টাকা মিটিয়ে দিতে বলে। আবেদন করা সত্ত্বেও তাতে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। টাকা মেটানোর পর দেহ নিতে গেলে আমরা পচন ধরার বিষয়টি লক্ষ্য করি। দূরদূরান্ত থেকে নিকটাত্মীয়রা এসে যাতে প্রিয়জনকে শেষ দেখা দেখতে পান, সেই জন্য‌ই ঩দেহ সংরক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে তা হল না। এঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

    নার্সিংহোমের কর্ণধার জিতেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুক্রবার থেকে ফ্রিজারে দেহ রাখা ছিল। অন্য একটি দেহও ওই ফ্রিজারে রাখা হয়েছিল। ওই দেহটি চার-পাঁচ ঘণ্টা পর পরিবারের লোকজন নিয়ে যায়। তাতে সমস্যা হয়নি। তবে তামলিবাঁধের দেহটির ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। ফ্রিজারের তাপমাত্রা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। তাছাড়া, প্রায় ২৬ঘণ্টা দেহটি ফ্রিজারে ছিল। ফলে যন্ত্র চালু থাকলেও দেহে পচন ধরা আটকানো যায়নি। আমরা পরিবারের সদস্যদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছি। ফ্রিজার দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ফ্রিজার ভাড়া বাবদ নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।  বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)