সংবাদদাতা, কান্দি: তিনদিকে নদী দিয়ে ঘেরা এলাকা। তাই কয়েকদশক ধরেই ভরতপুর-১ ব্লকের চাঁদপুর, কোল্লা, জাখিনা গ্রামের বাসিন্দারা ময়ূরাক্ষীর উপর একটি ফুটব্রিজের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে কাছে পেয়ে সেই সেতুর দাবি জানালেন বাসিন্দারা। সাংসদ এলাকার মানুষের সেই দাবি মেটানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
ব্লকের চাঁদপুর, জাখিনা ও কোল্লা গ্রাম তিনদিকে নদী দিয়ে ঘেরা। এসমস্ত গ্রামের দু’দিকে রয়েছে ময়ূরাক্ষী নদী। অপরদিকে রয়েছে কুয়ে নদী। প্রতিবছর বর্ষায় এসব গ্রাম বানভাসি হয়। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবী। বন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কৃষিজমি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য এলাকার মানুষ কয়েকদশক ধরে ময়ূরাক্ষীর উপর একটি সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন। এনিয়ে অনেকবার প্রশাসনের নানা মহলে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও দাবি মেটেনি।
চাঁদপুর গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আলিমুদ্দিন মিয়াঁ বলেন, আমাদের গ্রামের ইতিহাস বহু প্রাচীন। গ্রামের দক্ষিণে দারোগার বাগান লাগোয়া এলাকায় ইংরেজদের নীলকুঠিও ছিল। তাই অনেকেই এই গ্রামের মায়া কাটাতে পারছেন না। কিন্তু, বর্ষায় পুরো এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই আমরা বহুবছর ধরে সেতুর দাবি জানিয়ে আসছি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর গ্রামে তৃণমূলের ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনির কর্মসূচিতে যান বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান। তখন বাসিন্দারা ইউসুফের কাছে সেতুর দাবি তুলে ধরেন। সাংসদ দাবিপূরণের আশ্বাস দেন। পরে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে বাসিন্দাদের একটি লিখিত দাবিপত্র তাঁর কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কোল্লা গ্রামের বাসিন্দা আতাহার শেখ বলেন, আমরা কোনও বড় সেতু চাইছি না। ময়ূরাক্ষীর উপর একটি ফুটব্রিজ হলে তিনটি গ্রামের অন্তত ২০হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন। বর্ষার সময় এই এলাকা থেকে বাইরে বেরনোর কোনও রাস্তা থাকে না। ফুটব্রিজ তৈরি হলে অন্তত উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে পারব। সেইসঙ্গে এখানকার কৃষিজাত সামগ্রী আমদানি-রপ্তানিতে অনেক সুবিধা হবে।
এই তিনটি গ্রাম বড়ঞা বিধানসভার অধীন। বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, ওই ফুটব্রিজের প্রয়োজনীয়তার কথা বিধানসভায় তোলা হয়েছে। তবে সাংসদ এগিয়ে এলে সেই কাজে আরও সুবিধা হবে।