• নবদ্বীপে এটিএম থেকে টাকা হাতানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার উত্তরপ্রদেশের দুই দুষ্কৃতী
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: ফের একই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল। গ্রেপ্তার আরও দুই দুষ্কৃতী। নবদ্বীপ ধাম স্টেশন সংলগ্ন ভট্টপাড়া রোডের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারের ঘটনা। শনিবার সকালে ওই এটিএমের এক কর্মচারী এবং স্থানীয়  লোকজন ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার থেকে দুই দুষ্কৃতীকে আটক করেন। তারপর পুলিসের হাতে তুলে দেন। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত দুই দুষ্কৃতীর নাম আনন্দ পাল ও বিকাশ নিশাদ। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। গত বুধবার এই এটিএম থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা ভিকি চৌহান নামের আর এক দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়। যদিও আদালতের নির্দেশে ওই দুষ্কৃতী পুলিসের হেফাজতে রয়েছে। উল্লেখ্য, অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছিল দুষ্কৃতীরা। গত বুধবার নবদ্বীপ স্টেশন সংলগ্ন ভট্টপাড়া রোডের একটি এটিএম কাউন্টারে ঢুকেছিল। কিন্তু এক এটিএম কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের নজরদারিতে ধরা পড়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। তার সঙ্গে থাকা বাকি দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। শনিবার সকালেও একই কায়দায় এটিএম থেকে টাকা হাতানোর সময় দুই দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায়।

    ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমের তদারকির দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ রজত কুমার মণ্ডল বলেন, শুক্রবার রাতেও আমরা খবর পাই এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। খবর পেয়ে ওই রাতে আমরা নবদ্বীপের বিভিন্ন এটিএম কাউন্টারে ঘুরেছি। সেখানে পাঁচটি এটিএমে প্রতারণা হয়েছে তা ধরতে পেরেছি। পাঁচটার মধ্যে দুটো থেকে ক্যাশ পেয়েছি। বাকিগুলোতে ব্ল্যাক টেপ লাগানো প্লেট পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে এটিএমের বিভিন্ন কাউন্টারের সাটার ডাউন করা হয়। ভট্টপাড়ার এটিএমের সাটারের সমস্যা ছিল বলে সাটার নামানো যায়নি। এই এটিএম কাউন্টারের সামনে একজনকে রেখে যাওয়া হয়েছিল। আজও আমাদের উপর মহল থেকে ভিডিও পাঠানো হয়, কারা এই কাজ করছে। তবে গ্রাহকদের কোন ভয় নেই, যাঁদের টাকা খোয়া গিয়েছে, তারা কমপ্লেন করলেই টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই টাকা বেরোনোর জায়গায় ব্ল্যাক টেপ লাগিয়ে রাখত। এরপর গ্রাহকরা টাকা তুললে সেই টাকা বেরতো না। মেশিনেই আটকে থাকত। গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে বেরিয়ে গেলে জালিয়াতরা ঢুকে পড়ে কালো টেপ সরিয়ে সেই টাকা বের করে নিত। শিলিগুড়ির বাসিন্দা অর্চনা সরকার বলেন, সকালে এটিএম থেকে ৫ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে দেখি টাকাটা ডেবিট হয়ে গেল, কিন্তু টাকাটা বেরল না।  এরকমভাবে এখানে দু’তিনজনের একই অবস্থা হয়েছে। ব্যাঙ্কের এক স্টাফ ছিলেন, তিনি দাঁড়াতে বললেন। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল এই 

    ঘটনার জড়িত দু’জনকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ধরা 

    গিয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)