• পুরীর নিয়মেই দীঘায় জগন্নাথের প্রাণপ্রতিষ্ঠা, শুরু হয়েছে পুজো ও যজ্ঞ
    বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: দীঘায় জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা ও মহাযজ্ঞের আগে শাস্ত্রীয় মতে পুজোপাঠ ও হোমযজ্ঞ শুরু হয়ে গেল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিধান অনুযায়ী শুক্রবার থেকে পুজোপাঠ এবং হোমযজ্ঞ শুরু হয়েছে। জগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ করার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। সেখানেই দু’বেলা পুজো এবং হোমযজ্ঞ চলছে। পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন জগন্নাথদেবের সেবক এবং ইস্কন থেকে ১৭ জন সাধু এসেছেন। শুক্রবার পুজো এবং হোমযজ্ঞের পর প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ মাথায় নিয়ে মূল মন্দিরে যাওয়া হয়। সেসময় অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, রামনগর-১ বিডিও পূজা দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৮ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘায় পৌঁছবেন। ২৯ তারিখ মহাযজ্ঞ হবে। ১০০ কুইন্টাল আম ও বেলকাঠ এবং দু’কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হবে। মূল মন্দিরের সামনে মহাযজ্ঞ হবে। মুখ্যমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। ৩০ এপ্রিল জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিধান অনুযায়ী তা করা হবে। শনিবার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জেলার বিডিও, মহকুমা শাসক, ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকদের নিয়ে মেগা ইভেন্টের ‘ট্রায়াল’ সেরে নেন। কোন কোন দিক থেকে পুণ্যার্থীরা আসবেন, তাঁদের গাড়ি কোথায় রাখা হবে, তাঁদের কোথায় বসানো হবে, তার প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়। একই সঙ্গে মহাযজ্ঞ এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কীভাবে হবে, তা নিয়েও হোমওয়ার্ক করা হয়। কোলাঘাট থেকে দীঘা পর্যন্ত দু’টি জাতীয় সড়কের ধারে ‘মেগা ইভেন্টে’ ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। তমলুক এবং নন্দকুমার থানা এলাকায় প্রতি ১০০ মিটার অন্তর হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। এছাড়াও হিডকো, জেলা পরিষদের সভাধিপতির উদ্যোগ চণ্ডীপুর, ভগবানপুর, ভূপতিনগর এবং কাঁথি থানা এলাকায় রয়েছে প্রচুর ফ্লেক্স।

    কোলাঘাট থেকে দীঘা যাওয়ার পুরো রাস্তাটা সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রয়েছে। প্রতিটি থানা এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। দীঘা এবং দীঘা মোহনা কোস্টাল থানা এলাকায় বেশি সংখ্যক ক্যামেরা থাকছে। পুলিস সুপারের অফিস থেকে সরাসরি নজরদারি চালানো হবে। দু’দিন ধরে দীঘায় লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। তাঁদের সুবিধার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুরক্ষার জন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি প্রতিটি জায়গায় থাকছে পুলিস অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ। সেখান থেকে পানীয় জলের বোতল সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও সড়ক বরাবর প্রতিটি থানাকে ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বাজকুল, চণ্ডীপুর, নন্দকুমার সহ বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হয়। আজ, রবিবার বাইরের জেলা থেকে পুলিস অফিসার ও কর্মীরা দীঘায় পৌঁছে যাবেন। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৮০০ পুলিসকর্মীকে আনা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)