দ্রুতগতিতে চলা গাড়ির নম্বর জানতে শক্তিশালী ক্যামেরা বসাচ্ছে এইচডিএ
বর্তমান | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, হলদিয়া: দিনে অথবা রাতে, দ্রুতগতিতে চলা গাড়ির নম্বরপ্লেট নিমেষে ধরা পড়বে। এমন শক্তিশালী ক্যামেরা বসাচ্ছে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(এইচডিএ)। জাতীয় সড়কে নজরদারির জন্য অটোমেটিক নম্বরপ্লেট রিকগনিশন ক্যামেরা(এএনপিআর) বসানো হচ্ছে। হলদিয়া, দীঘা ও তমলুক শহরে যোগাযোগের সংযোগস্থল নন্দকুমার রোটারি পার্কে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে এধরনের দু’টি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এইচডিএর চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর বলেন, নতুন ক্যামেরার মাধ্যমে নন্দকুমার থানার পুলিস জাতীয় সড়কে নজরদারি চালাবে। নিরাপত্তার দিক থেকে ওই এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংযোগস্থলের রোটারি পার্কে একটি সুন্দর নেচার পার্ক রয়েছে, সেটি আলোকিত করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। ওই এলাকায় সিসি ক্যামেরা আছে। এবার আরও শক্তিশালী ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। যেখানে ১৮-২০দিনের সমস্ত ডেটা জমা থাকতে পারে। জাতীয় সড়কে বিভিন্ন ধরনের দুষ্কর্ম রুখতে পুলিসের এই ক্যামেরা কাজে লাগবে। বিশেষ করে দুষ্কর্ম করে পালানো বাইক, চারচাকা গাড়ি বা পণ্যবোঝাই গাড়ি ছিনতাই রুখতে বিশেষ ধরনের ক্যামেরা তদন্তে সাহায্য করবে পুলিসকে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এবং বন্দর এলাকায় এধরনের ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বা নাশকতামূলক কাজকর্ম ঠেকাতে এবার হলদিয়ার বাইরেও সড়কপথে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এইচডিএ কর্তৃপক্ষ।
হলদিয়া, কাঁথি, তমলুক থেকে জেলার বাইরে পালাতে নন্দকুমার সংযোগস্থল খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এইচডিএ এলাকায় এধরনের ক্যামেরার ব্যবস্থা করছে পুলিস। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল ও লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে বছরখানেক আগে দেড় কোটি টাকা খরচে এইচডিএ দু’শতাধিক আইপি ক্যামেরা লাগিয়েছিল। বিভিন্ন থানার পুলিস ওই ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করে। জানা গিয়েছে, হলদিয়া শহরে ওই ক্যামেরার একটি বড় অংশ অকেজো হয়ে গিয়েছে। ভবানীপুর থানা এলাকায় ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরার মধ্যে মাত্র ২৩টি সচল, হলদিয়া থানা এলাকায় ৮০টির মধ্যে মাত্র আট-ন’টি সচল। একই অবস্থা দুর্গাচকেও।