নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত কয়েক বছরে সমুদ্র থেকে বহু প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আবার অনেক নতুন প্রজাতির সন্ধানও মিলেছে। এমন অনেক প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী রয়েছে যা বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এই জীবজগতের গল্প শোনাবে বালিগঞ্জের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামের (বিআইটিএম) নতুন গ্যালারি ‘লস্ট অ্যাট সি’। দুই মে বিআইটিএমের প্রতিষ্ঠা দিবসে উদ্বোধন হতে চলেছে এই নতুন গ্যালারির। এখন শেষ মুহূর্তে জোরকদমে প্রস্তুতির কাজ চলছে।
আর কী থাকছে এই নতুন গ্যালারিতে? বিআইটিএমের ডিরেক্টর অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়ার গল্প নয়। গত কয়েক বছরে নতুন যা সামুদ্রিক প্রজাতি সম্পর্কে জানা গিয়েছে, সেগুলিও থাকছে। অর্থাত্ একটা আশার আলোও দেখানো হয়েছে।’ গ্যালারিজুড়ে মোট চারটি মাল্টিমিডিয়ায় বিলুপ্ত প্রজাতি ও নতুন প্রজাতির সন্ধানের গল্প বলা হচ্ছে। এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীর বিরলতম সামুদ্রিক প্রাণী ‘ভ্যকিটা’। তিমি প্রজাতির এই প্রাণী মাত্র ১০টি বেঁচে। তার স্কেলিটন থাকছে এই গ্যালারিতে। ডিরেক্টর বলেন, ‘এর মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে, যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে পৃথিবীতে শুধু এরকম কিছু হাড়(কঙ্কাল) শুধুমাত্র বেঁচে থাকবে।’ এরকমই আরও ১৪ প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হকসবিল টার্টল, সি টার্টল, সি লায়নস, গ্রিন টার্টল প্রভৃতি।
শুধু প্রাণী নয়, এর পাশাপাশি থাকছে সামুদ্রিক অর্থনীতির কথাও। যদি সমুদ্রকে একটি দেশ হিসেবে ভাবা যায়, তাহলে ওই জলরাশি অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতির সমান হতো। সে কথা মনে করে সমুদ্র যদি কখনও মানবজাতিকে ‘বিল’ পাঠায়? এই গ্যালারিতে একটি বিরাট ‘বিল’ রাখা হবে। সঙ্গে থাকছে ‘ইন্টার্যাকটিভ’ সেশনও। কেমন হবে সেটি? জাপানে ‘জিও টাকু’ নামে একটি কনসেপ্ট ছিল। তখন ক্যামেরা ছিল না। সেখানকার লোকেরা মাছ ধরলে গায়ে কালি লাগিয়ে একটি কাগছে ছাপ তুলে রাখত। সেটা আজকের দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বহু প্রাণীর বিবরণ দেয়। এই গ্যালারিতে তৈরি হচ্ছে ‘ডিজিটাল জিও টাকু’। কীভাবে? গ্যালারির একটা জায়গা অ্যাকোয়ারিয়ামের প্রোজেকশন দিয়ে তৈরি হয়েছে। দেওয়ালে প্রোজেকশন প্রতিফলিত হবে। দেখা যাবে,
মাছ ঘুরছে। থাকবে কিউ আর কোড। সেটি স্ক্যান করলে মোবাইল
ফোনে মাছের আকার চলে আসবে। সেই মাছে পছন্দের মতো রং লাগিয়ে ছেড়ে দিলে তা দেওয়ালে ঘুরতে