• পরিষেবায় দেশের অন্যতম সেরা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল
    এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়, দুর্গাপুর: ‘ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডার্ড’, কেন্দ্রের এই মানদণ্ডে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্য তো বটেই, পরিষেবার ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতালের তকমা পেয়েছে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই সাফল্যের কথা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    অস্ত্রোপচার, আউটডোর এবং ইন্ডোর পরিষেবা, সিসিইউ, প্রসূতি ও সদ্যোজাত বিভাগ–সহ হাসপাতালের মোট ১৪টি বিভাগের পরিষেবা–সহ ডাক্তার, নার্স, গ্রুপ–ডি কর্মী ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সমস্তকিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে প্রতিটি বিভাগকে পৃথক নম্বর দেওয়া হয়। সমস্ত বিভাগের নম্বরের বিচারে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল পেয়েছে ৮৭ শতাংশ নম্বর। ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সিসিইউ বিভাগ।

    হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, ‘সাত দিন ধরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা হাসপাতাল পরিদর্শন করার পাশাপাশি সমস্ত বিভাগের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালকে ৮৭ শতাংশ নম্বর দিয়েছে। এটা আমাদের কাছে খুবই গর্বের বিষয়। হাসপাতালের সমস্ত কর্মী, ডাক্তার ও নার্সদের সমবেত প্রয়াসে এই সাফল্য এসেছে। প্রথমে জেলা, তার পরে রাজ্য, এ বার জাতীয় স্তরেও মূল্যায়নেও আমার সফল হয়েছি।’

    পরিষেবার মান যাচাই করার সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী, সাফাইকর্মী, প্রতি বিভাগের ডাক্তার, নার্সের সঙ্গেও কথা বলেন। বিভিন্ন প্রশ্নেরও পেয়েছেন সন্তোষজন উত্তর। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, ‘গত আড়াই বছরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসাপাতালে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। প্রশাসনিক কাজের জন্য নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। ইন্ডোরের পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য শয্যার সংখ্যা বাড়িয়ে একটি নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। বার্ন ইউনিটের সংস্কার হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ও সাফাইয়ের কাজের জন্য দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল সাহায্য করছে। সিটি স্ক্যান মেশিন বসেছে। একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার অত্যাধুনিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার উদ্বোধনও হয়েছে।’

    মহকুমা হাসপাতালের সাফল্যে গর্বিত রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনিও ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে ক্রমশ উন্নতি করছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। প্রতিদিন রোগীর চাপ বাড়লেও তা দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন এখানকার ডাক্তার, নার্স ও অন্য কর্মীরা।’

  • Link to this news (এই সময়)