এই সময়, পুরুলিয়া: কাশ্মীরের পহলগামে তাদের বাবার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে জঙ্গিরা। কিন্তু তার পরেও কেড়ে নিতে পারেনি ঝালদার মণীশরঞ্জন মিশ্রের পরিবারের ভবিষ্যৎ। গত মঙ্গলবারের নৃশংস হত্যালীলার পর থেকে ঝালদার বাঘমুণ্ডি রোডে এই আইবি অফিসারের বাড়িতে লেগেই রয়েছে। আত্মীয়পরিজন ছাড়াও সাধারণ মানুষও সহমর্মিতা দেখাতে নিয়মিত আসছেন। দেখা করে গিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কর্তা, জনপ্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মন্ত্রীও।
এ বার মণীশের দু’সন্তানের শিক্ষার সমস্ত রকমের দায়িত্ব তুলে নিতে চেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন একটি বেসরকারি সংস্থার সদস্যরা। শনিবার ওই সংস্থার পক্ষে ঝালদায় গিয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন কর্ণধার। তিনি একটি চিঠিও তুলে দেন পরিবারের হাতে। সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে, এই সংস্থার চেয়ারম্যান এই পরিবারের পাশে রয়েছেন। নিহত মণীশের পুত্র ও কন্যার যাবতীয় পড়াশোনার দায়িত্ব নিতেও ইচ্ছুক এই সংস্থা। দিল্লিতে এই সংস্থার তৈরি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তাদের আগামীদিনের লেখাপড়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করবে। এমনই অনুরোধ করা হয়েছে পরিবারের সদস্যদের।
এই বিশেষ বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যানও ঝালদার ভূমিপুত্র। মণীশের স্ত্রী এখনও শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। তবে এ ভাবে পাশে থাকার জন্য পরিবারের অন্য সদস্যরা সকলকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তরফেও একটি প্রতিনিধি দল এ দিন শোকার্ত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করেন। সংগঠনের সহ–সভাপতি মনোজ ফোগলা এবং সদস্য রাজীব শা গভীর শোকপ্রকাশ করে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন।