• ‘PoK’ দখল করার দাবি, গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধলেন অভিষেক
    এই সময় | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা ‘প্রতীকী হুমকি নয়’, এ বার প্রয়োজন ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ দখল করা। পহেলগামের জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের। ‘তাদের বোঝার ভাষাতেই শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে।’ মন্তব্য তাঁর।

    পহেলগামের ঘটনায় ইন্টেলিজেন্স-এর ‘ব্যর্থতা’-র কথা কার্যত মেনে নেয় কেন্দ্র।এমনই দাবি বিরোধীদের। এরকম একটি নৃশংস জঙ্গি হামলার বিষয়ে কেন ইন্টেলিজেন্স ইনপুট মেনে চলা হলো না, সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিকে অভিযোগ আঙুল তোলা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই অভিষেক রবিবার বলেন, ‘আমি শেষ কয়েকদিন মূলধারার গণমাধ্যম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পহেলগামে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার পিছনে থাকা ত্রুটিগুলি তদন্ত করার পরিবর্তে, তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কথা বলে চলেছে।’ তুচ্ছ রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে বিষয়টির পর্যালোচনা করা উচিত বলে জানান তিনি।

    উরি, পুলওয়ামা হোক বা পহেলগাম, দেশের মাটিতে একের পর এক জঙ্গি হামলা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাস দমনে কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ প্রয়োজন। অভিষেকের কথায়, ‘এর (সন্ত্রাসবাদী হামলা) স্থায়ী সমাধান করার সময় এসেছে। পাকিস্তানের জন্য আর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা প্রতীকী হুমকির সময় নয়। তাদের বোঝার ভাষায় তাদের শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) দাবি করার সময় এসেছে।’

    উল্লেখ্য, পহেলগাম হামলার পর একটি সর্বদল বৈঠকের আয়োজন করেছিল কেন্দ্র। সেই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা মেনেও নেয় কেন্দ্র। তবে, সন্ত্রাস দমনে কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই।

  • Link to this news (এই সময়)