মুর্শিদাবাদে অশান্তি চলাকালীন বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক। ধৃতের নাম ফেকারুল শেখ। হাওড়ার জোমজুড় থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে জাফরাবাদে জোড়া হত্যার ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। ফেকারুলকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেকারুল শেখ সামশেরগঞ্জের সুলিতলার এলাকা বাসিন্দা। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ও ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হওয়া ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেকারুলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। খুনের ঘটনার পরই ফেকারুল মুর্শিদাবাদ ছেড়ে পালিয়ে যান। আশ্রয় নেন ডোমজুড়ে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জোমজুড়ে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই ফেকারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ফেকারুলের বিরুদ্ধে ঘটনার সময় এলাকায় উপস্থিত ও ঘটনায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ আগে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদে। সেই সময় জাফরাবাদে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। প্রথমে সুতি ও বীরভূমের মুরারই থেকে কালু নাদাব ও দিলদার নাদাবকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুতি থেকেই ইনজামাম হক নামে আরও এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এই ইনজামামের সঙ্গে পিতা-পুত্রের বিবাদ ছিল। নিহতদের বাড়ির সামনে একটি বৈদ্যুতিন খুঁটিতে কাজ করা নিয়ে বিবাদ দেখা দিয়েছিল দু’পক্ষের মধ্যে। তবে সেই ঘটনার জন্যই খুন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে এরপর খুনের ঘটনার মূলচক্রী জিয়াউল শেখ ওরফে চাচাকে চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তজারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জোড়া খুনে ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিয়াউলের নাম উঠে আসে। একই সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের।