মন্দির থেকে গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার এক বিজেপি নেতা। ধৃতের নাম শ্যামল রায়। পেশায় তিনি সোনার ব্যবসায়ী। শ্যামল নকশালবাড়ি বিজেপি মণ্ডলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি দলের আইটি সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি এলাকায় দীর্ঘদিনের আরএসএস কর্মী হিসেবেও পরিচিত।
গত ১৪ এপ্রিল নকশালবাড়ির মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের দয়ারামজোতের একটি মন্দির থেকে সোনার মালা চুরি হয়ে যায়। মন্দির কমিটির সদস্যরা নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার মধ্য কোটিয়াজোতের বাসিন্দা বাসুদেব পালকে আটক করে। তদন্তে উঠে আসে, বাসুদেব শ্যামলের কাছে গয়না বিক্রির কথা স্বীকার করে।
এরপর নকশালবাড়ি বাজারের ঘাটানি মোড়ে শ্যামলের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। দোকান থেকে সোনার গয়না উদ্ধারের পাশাপাশি শ্যামলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর শ্যামল ও বাসুদেবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘নকশালবাড়িতে গত কয়েক মাসে একাধিক মন্দিরে চুরি হয়েছে। এসবের পেছনে রয়েছেন বিজেপি-আরএসএসের কর্মীরা। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতেই তাঁদের এই পরিকল্পনা। তাঁরা একদিকে ধর্মকে ব্যবহার করেন, অন্যদিকে আবার তাঁরাই মন্দিরে কর্মীদের দিয়ে চুরি করান। কর্মীরা শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে পথে নামবেন।’
বিজেপির নকশালবাড়ির মণ্ডল সভাপতি সাধন চক্রবর্তী বলেন, ‘চোর তো তৃণমূলের পার্টি অফিসে রয়েছে। এর থেকেও বড় বড় চোর রয়েছে। দলে ২০ কোটি কর্মী রয়েছেন। কারা কোথায় কী করছেন, সবকিছু আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়।’ ধৃতদের শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।