• পাকিস্তানকে হুমকি নয়; সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেরও সময় নয়, অভিষেক বললেন আরও বড় ব্যবস্থার কথা
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পহেলগাঁও হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে, ভারত থেকে পাকিস্তানিদের চলে যেতে বলা হয়েছে, সার্ক ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরব সাগরের তীরে শুরু হয়েছে সামরিক মহড়া, কাশ্মীর উপত্যকায় শুরু হয়েছে জঙ্গিদের ঘর ভাঙার কাজ। এর মধ্য়েই এবার এনিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিষেকের সাফ বার্তা, হুমকি নয়, কাজ করে দেখাতে হবে মোদী সরকারকে। পাকিস্তান যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই তাকে জবাব দিতে হবে। এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের উপরে নজর রেখে চলেছি। পহেলগাঁও হামলার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গলদের কথা না তুলে কিছু মিডিয়া এমনসব কথা বলেছে যা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধে করে দেবে। এখন এইসব কাজের সময়ে নয়। সবাইকে রাজনীতির উপরে উঠে এই আঘাতের মোকাবিলা করতে হবে। এটা কোনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় নয়, পাকিস্তানকে কোনও প্রতীকী হুমকি দেওয়ারও সময় নয়। এটা পাকিস্তানকে সেই ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার সময় যে ভাষা ওরা বোঝে। এটা পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করে নেওয়ার সময় এসেছে।

    অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, প্রথমেই তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে যে কথাটি বলেছেন সেটাই ভারতের প্রত্যেকটি মানুষের একমাত্র অন্তরের ইচ্ছা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দলে রয়েছেন সেই দল যাদের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে সেই দলের কারণেই আজকের এই পাক অধিকৃত সমস্যার জন্ম নিয়েছিল। আমি আশা করব ভবিষ্যতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাঁর দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের বিবৃতি থেকে বিরত রাখবেন। তাদের যে বিবৃতি আসছে তা পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন বক্তব্য পাকিস্তানের বিভিন্ন ম্যাগাজিনের প্রথম পাতার খবর হয়েছিল। তবে তিনি যে চিন্তা করেছেন পিওকে সম্পর্কে তাকে কারও রাজনীতি করা উচিত নয়।

    উল্লেখ্য, ভারতের মধ্যে বিভিন্ন তত্পরাতায় এবার মুখ খুললেন পাক রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ঘৌরি, সাহিন ও গজনভির মতো ক্ষেপণাস্ত্র।  আর রেছে ১৩০টি পরমাণু বোমা। সবই ভারতের জন্য। ভারত যদিন সিন্ধুর জল বন্ধ করে দেয় তাহলে তাহলে  পুরোদস্তুর যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকুক ভারত। পাকিস্তানের হাতে যে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে তা শুধু দেখানোর জন্য নয়। দেশের বিভিন্ন কোণায় তা লুকানো রয়েছে। প্ররোচনা দিলেই তা কাজ শুরু করবে।  

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)