• আলোর থিমেও জগন্নাথ, মন্দির উদ্বোধনের আগে সৈকত নগরী সেজেছে চন্দননগরের আলোয়
    প্রতিদিন | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নব্যেন্দু হাজরা: সোমবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার যজ্ঞ। আর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। সেই উপলক্ষে ইতিমধ্যে বর্ণময় আলোর সাজে সেজে উঠেছে সৈকত নগরী। দিঘাতে ঢুকলেই চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড়! অপরূপ আলোর মালা মন্দির থেকে রাজপথ, সর্বত্র। রয়েছে আলোর নানান এফেক্ট। আর এই আলোকসজ্জার নেপথ্যে রয়েছে চন্দননগরের আলো।

    সেখানকার জগতবিখ্যাত আলোর মালায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। জগন্নাথের তিলক থেকে মন্দিরের ধ্বজা সবই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দিঘাকে সাজিয়ে তুলতে কাজ করেছেন প্রায় দুশো জন কর্মী। তাঁদের শিল্পকলা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার হয়েছে ‘এসএমডি’ লাইট। যা আনা হয়েছে চিন থেকে। শিল্পীদের কথায়, এই আলোর উজ্জ্বলতা অনেক বেশি। তাই এখন এসএমডি আলোই ব্যবহার করা হয়। এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম। দিঘা প্রবেশের গেট থেকে জাহাজবাড়ি পর্যন্ত মোট আটটি বড় বড় আলোর গেট হয়েছে। যা দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে বাধ্য। সেই গেটেই আলো দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে রূপ দেওয়া হয়েছে।

    দিঘাকে আলোর সাজে সাজিয়ে তোলার দায়িত্বে ছিলেন চন্দননগরের আলোক শিল্পী জয়ন্ত দাস। তিনি বলেন,”আলোর কাঠামোগুলো তৈরি করতে আমাদের কর্মীরা কয়েক মাস ধরে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। আলো দিয়ে জগন্নাথ দেব, মন্দির, শঙ্খ, পুজোর নানা উপকরণ ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি মানুষের ভালো লাগবে। নতুন ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়েছে যার উজ্জ্বলতা অনেক বেশি।”

    মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের চরম ব্যস্ততা। দিঘাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা। মন্দির উদ্বোধনের দিন সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর জন্য জায়গায়-জায়গায় লাগানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। শুরু হয়েছে যান নিয়ন্ত্রণও। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভিভিআইপি-র আনাগোনা। কারণ কাউন্ট ডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দির উদ্বোধনের।
  • Link to this news (প্রতিদিন)