• বড় গাছের জায়গা নেই, রাস্তার মাঝে গ্রিন বাফারে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা
    প্রতিদিন | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতায় আর বড় গাছ লাগানোর জায়গা নেই! কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়ার মতো গাছের সংখ্যাও দ্রুত কমছে। কোনও বেসরকারি সংস্থা নয়। এই তথ্য খোদ কলকাতা পুরসভার। তাই এবার বড় রাস্তার মাঝে ‘গ্রিন বাফার’ করা হচ্ছে। যেসব গাছ উচ্চতায় ৪ থেকে সাড়ে চার ফুট। অক্সিজেন পাওয়া যাবে। দূষণ কমবে।

    আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। রাজ্যজুড়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন হবে। কিন্তু যত দিন এগিয়ে আসছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে পুরসভার উদ্যান বিভাগের। কারণ, কলকাতায় আর বড় গাছ লাগানোর জায়গা নেই। কলকাতায় বড় গাছ দেখা যায় ময়দান এলাকায়। বন দপ্তরের উদ্যোগে গোটা ময়দান তল্লাট জুড়ে বড় বড় গাছ লাগানো হয়েছিল। এখন সেসব গাছের গড় বয়স ৩০-৩৫ বছর। বেশিরভাগ পাকুড়, শিরীষ, বটের মতো গাছ। ময়দান এলাকা বাদে বাকি রইল পূর্ব কলকাতার বাইপাস এলাকা আর পানীয় জল উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্র। বাইপাসের দু’ধারে পুরসভা এবং বনদপ্তর কিছু গাছ রোপণ করেছে। কিন্তু এবার মেরেকেটে হয়তো হাজার পাঁচেক গাছ লাগাতে পারে উদ্যান বিভাগ।

    পুর উদ্যান বিভাগের আধিকারিকদের বক্তব্য, মহানগরীতে বড় গাছ রোপণ করার জায়গা নেই। তাই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস অ্যাভিনিউতে বড় গাছ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আয়লার পর বেশিরভাগ বড় গাছ উপড়ে যায়। সেই বছর ও তার পরের বছর গড়ে ৫০ হাজার করে গাছ লাগানো হয়। সেই সময়ে রাজ্য হর্টিকালচার বিভাগ সমীক্ষা চালিয়ে পুর উদ্যান বিভাগে রিপোর্ট জমা দেয়। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছিল কলকাতার বেশিরভাগ এলাকায় মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে খাস কলকাতায় বট, মেহগনি অথবা অশ্বত্থের মতো বৃক্ষ রোপণ করা হলেও ঝড়ে গোড়া থেকে উপড়ে যাবে। তা হলে উপায়?

    পুর এলাকায় বৃক্ষ রোপণ করতে এবার মেট্রো রেল, বন্দর কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা হয়েছে। আবার পুরসভার বাগানেও বড় গাছ লাগানোর জায়গা কম। গত পাঁচ বছর ধরে গার্ডেন রিচ পানীয় জল উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্রে আম, জাম, কাঁঠাল, জামরুল, বাতাবি লেবুর গাছ লাগানো হয়। একইভাবে টালা পাম্পিং স্টেশনে ও আম, জাম, কাঁঠালগাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক শহরে কমছে কৃষ্ণচূড়া গাছ। অনেক যত্ন করেও রক্ষা করা যাচ্ছে না। ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। তবে শহরের দূষণ কমাতে রাস্তার মাঝে ছোট গাছ রোপণ করা হচ্ছে। ফলে কিছুটা হলেও দূষণ কমছে। অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)