পহেলগাঁও হত্যালীলা: এ বার নিহত বিতানের বৈষ্ণবঘাটার বাড়িতে গেল এনআইএ-র দল
আনন্দবাজার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নথিভুক্ত করা শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। রবিবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর পাটুলির বৈষ্ণবঘাটার বাড়িতে গেল তদন্তকারীদের একটি দল। কথা বলেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রের সঙ্গে।
স্ত্রী সোহিনী এবং পুত্র হৃদানকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন বিতান। তিনি কর্মসূত্রে থাকতেন ফ্লোরিডায়। বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত যুবকের স্ত্রী সোহিনীও সেখানেই থাকতেন। গত ৮ এপ্রিল তাঁরা তিন বছরের পুত্রকে নিয়ে কলকাতার বাড়িতে ফিরেছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল তিন জনে জম্মু-কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। কলকাতায় ফেরার কথা ছিল বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল। কিন্তু মঙ্গলবারই পাটুলির বাড়িতে আসে দুঃসংবাদ। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার খবর শুনে শোকে পাথর হয়ে যান বিতানের বাবা-মা।
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে কী ঘটেছিল, তা জানতেই তৎপর এনআইএ। বুধবারই ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তদন্তকারীরা। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। তাদের বিভিন্ন আধিকারিক নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কথা বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। সেইমতোই রবিবার দুপুরে এনআইএ-র তিন আধিকারিকের একটি দল বিতানের বাড়িতে যায়।
পহেলগাঁও কাণ্ডে বাংলার আরও দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়। বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ এবং পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্র। দু’জনেই পরিবার নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ছিলেন পহেলগাঁওয়ে। শনিবারই সমীরের বেহালার সখেরবাজারের বাড়িতে যায় এনআইএ-র দল। কথা বলেন নিহত সমীরের স্ত্রী শবরী এবং কন্যার সঙ্গে।
বিতান, সমীরের মতো মণীশও স্ত্রী এবং দুই পুত্র-কন্যাকে নিয়ে কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন তিনি। সূত্রের খবর, সমীর, বিতানের পর মণীশের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন এনআইএ আধিকারিকারেরা। তবে কবে তাদের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।