মারামারি থেকে কামড়াকামড়ি! দলীয় বৈঠকে অশান্তির জেরে রক্তে লাল সিপিএমের অফিস
প্রতিদিন | ২৭ এপ্রিল ২০২৫
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, রমেন দাস: সাংগঠনিক বৈঠকে অশান্তির জেরে রক্তে লাল কসবা সিপিএমের পার্টি অফিস। তুমুল মারামারির পাশাপাশি একে অপরকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাম নেতাদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে বৈঠক উঠল শিকেয়, কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে মাঝরাতে চিকিৎসকের কাছে ছুটলেন আহত নেতারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে কসবার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের এরিয়া কমিটির দপ্তরে।
জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে সিপিএমের জেলা সদস্যের উপস্থিতিতে ১নম্বর এরিয়া কমিটির বৈঠক বসেছিল ৯১ ওয়ার্ডে। সেই বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। তুমুল মারামারি শুরু হয় দলীয় অফিসের ভিতর। এই অবস্থায় সিপিএমের এক নেতার হাতে ব্যাপক মার খান এরিয়া কমিটির এক সদস্য। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। আঘাতের জেরে এরিয়া কমিটির একাধিক সদস্যের শরীরে সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে, এক সিপিএম নেতার হাতে কামড়ে দিয়েছেন অন্য গোষ্ঠীর আর একজন। স্থানীয় সংগঠনিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের গণ্ডগোলের জেরে শিকেয় ওঠে বৈঠক।
সূত্রের খবর, শনিবারের এই ঘটনার পর চাপ বেড়েছে আলিমুদ্দিনেও। দাবি করা হচ্ছে, এর আগেও বহুবার কসবায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। একাধিকবার হাতাহাতি মারামারি পর্যন্ত হয়েছে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সব জানার পরও শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সব দেখেও চোখ বুজে থেকেছে আলিমুদ্দিন। শনিবার ফের সেই ঘটনা ঘটায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ এরিয়া কমিটির নেতারা। দল যদি এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেয়, সেক্ষেত্রে দলের বেশ কয়েকজন নেতা ইস্তফা দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যদিও এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা কমিটির নেতৃত্বরা। সেদিনের বৈঠকে উপস্থিত সিপিএম নেত্রী দিপু দাস। এই বিষয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।” এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে আদৌ ঘটেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই বলেননি তিনি। জেলা কমিটির সিপিএম নেতা কল্লোল মজুমদার বলেন, “আমি এখন একটি বৈঠকে ব্যস্ত আছি। কিছু হয়েছে কিনা এখন বলতে পারছি না। এই বিষয়ে পরে কথা বলব।”