দেবব্রত ঘোষ: পর্যাপ্ত বগি ও অপারেশনাল সমস্যার কারণে দীঘার লোকাল স্পেশ্যাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, (২৬ এপ্রিল থেকে) ৪ মে পর্যন্ত দীঘা-হাওড়া ও পাঁশকুড়া-দীঘা লোকাল চালানো হবে না।
এদিকে, আগামী ৩০ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘায় জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন করবেন। সেদিন সেখানে প্রচুর জনসমাগম হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। অথচ, তার ঠিক আগে রেলের এই সিদ্ধান্ত! বলাই বাহুল্য়, রেলের এই সিদ্ধান্তকে ভালো চোখে দেখছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। ইচ্ছাকৃতভাবে ভাবে কেন্দ্র সরকার এই কাজ করেছে, বলে অভিযোগ তাঁদের তরফে। কিন্তু এসব করেও মানুষকে আটকানো যাবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। মন্ত্রী অরূপ রায় বলে দিয়েছেন, 'এটা ছোট মনের পরিচয়। উদ্দেশ্যপ্ৰণোদিত ভাবে করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে মানুষকে আটকানো যাবে না। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে।'
দীঘায় জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধনের আগে এই ট্রেন বাতিলকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আগামী ৩০ এপ্রিল দীঘায় জগন্নাথধামের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২৬ এপ্রিল থেকে আগামী ৪ মে পর্যন্ত হাওড়া-দীঘা স্পেশাল এবং পাঁশকুড়া-দীঘা স্পেশাল-- এই দুটি ইএমইউ ট্রেন বন্ধ থাকবে।
কেন বন্ধ থাকবে? কী জানিয়েছে রেল?
দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বগির অভাব এবং অপারেশনাল সমস্যার কারণেই বন্ধ রাখা হচ্ছে এই দুটি ট্রেন।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। এভাবে মানুষকে আটকানো যাবে না। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অত্যন্ত ছোট মানসিকতার পরিচয়। সেদিন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি চক্রান্ত করে মানুষকে আটকাতে পারবে না।
বিজেপি নেতা ওম প্রকাশ সিং বলেছেন, সব দিক ভালো করে বুঝেশুনেই রেল কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ করেছে। জগন্নাথ মন্দির নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে কিছু লাভ হবে না।