সমবায় নির্বাচন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা, তৃণমূল-সিপিএমের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র হাওড়া
প্রতিদিন | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: কৃষি সমবায় নির্বাচন ঘিরে তীব্র উত্তেজনা হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় বিবাদ ও হাতাহাতি হয়। শাসক দল ক্ষমতায় অপব্যবহার করে ভোট লুট করেছে। এই অভিযোগ করেছে সিপিএম। সিপিএমের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। আজ রবিবার জগৎবল্লভপুরের একব্বরপুর গোবিন্দ পাঁজা হাইস্কুল ও লস্করপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমবায়ের নির্বাচন ছিল।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার সমবায় নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কয়েক দিন ধরেই চাপা উত্তেজনা চলছিল। এদিন সকাল থেকে নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় জটলা দেখা যায়। গোবিন্দ পাঁজা হাইস্কুল ও লস্করপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে একসময় উত্তেজনা দেখা যায়। শাসক ও বিরোধী পরস্পরের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ আনে। সিপিএমের অভিযোগ, ওই কেন্দ্র থেকে তাঁদের এজেন্টদের বার করে দিয়েছে তৃণমূল। সিপিএমের লোকজন ব্যালট বাক্স ফেলে দিয়েছে বলে তৃণমূল পালটা অভিযোগ করেছে। একসময় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। রাস্তার উপরে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
এক সিপিএম প্রার্থীকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বচসা তুমুল আকার নেয়। পালটা সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চেয়ার-টেবিল উল্টে দেওয়ার। তৃণমূলের তরফে দাবি, নিয়ম ছিল প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্ট দু’জনের মধ্যে একজন বুথে থাকবে। কিন্তু ওই বুথে দু’জনেই ছিলেন। সেজন্য এজেন্টকে রেখে প্রার্থীকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। যদিও সিপিএমের অভিযোগ, তাঁকে বার করে দেওয়া হয়েছে। বুথের ভিতরে ভোটারদেরও বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল পালটা দাবি করেছে, ওই প্রার্থীর মেয়ে বুথের মধ্যে গোলমাল করেছেন। টেবিল উলটে দিয়ে উত্তেজনা তৈরি করেছে। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই ভোট ঘিরে আগে থেকেই পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল। আরও পুলিশ কর্মী ও র?্যাফ ওই এলাকায় পৌঁছয়। কিছু সময় পরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। তবে ভোটপর্ব মেটা পর্যন্ত এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল বলে খবর। ওই সমবায় সমিতির মোট ২৭টি আসনের চারটি বিনা প্রতিযোগিতায় তৃণমূল আগেই জিতেছে। বাকি ২৩টি আসনে লড়াই করে তৃণমূল এবং বামেরা।