• একের পর এক বুকিং বাতিল, বৈষ্ণোদেবীর হেলিকপ্টার সার্ভিস চার্জ নিয়ে মাথায় হাত ট্যুর এজেন্সির
    এই সময় | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • দুর্গম পথ পেরিয়ে তার পর মেলে বৈষ্ণোদেবীর দর্শন। তাই ভক্তরা বিশ্বাস করেন মায়ের ডাক না এলে নাকি কেউ সেখানে যেতে পারেন না। কিন্তু পহেলগামে জঙ্গি হানার পর বৈষ্ণোদেবীর দর্শনেও পড়েছে টান। কাশ্মীর ভ্রমণ এড়িয়ে যেতে চাইছেন পর্যটকরা। আগে থেকে বুক করে রাখলেও ২২ এপ্রিলের ঘটনার পর বাতিল হচ্ছে একের পর এক ট্যুর। এতে মাথায় হাত পড়েছে ট্যুর এজেন্সিগুলির। বৈষ্ণোদেবীর হেলিকপ্টার সার্ভিস বুকিং নিয়ে তো ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’র অবস্থা এজেন্টদের। পকেট থেকে বেরোনো টাকা উদ্ধারের দিশা পাচ্ছেন না তাঁরা।

    বৈষ্ণোদেবীর দুর্গম রাস্তার কষ্ট এড়াতে অনেকে মন্দিরে যাওয়ার জন্য ট্রেকিং ছেড়ে ভাড়া করেন হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টার পরিষেবা সীমিত হওয়ায় অনেক আগে থেকে বুক করে রাখতে হয়। তাই অনেকেই ট্যুর কোম্পানির মাধ্যমে আগেভাগেই বুকিং সেরে রাখেন। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে ভাড়ার ৮০ শতাংশ অগ্রিম দিয়ে বুক করতে হয় হেলিকপ্টারের সিট। এই বুকিং বাতিল হলে সেই অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরত পায় না ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলি। পরবর্তী বুকিংয়ের সময় অ্যাডজাস্ট হয় সেই টাকা । কিন্তু, পহেলগামে জঙ্গি হানার ঘটনার পর কাশ্মীর ভ্রমণের প্রায় অধিকাংশ বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা । আর যার জন্য মাথায় হাত পড়েছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলির । কারণ, ট্রাভেল এজেন্সিগুলির অনুমান, কাশ্মীরের পর্যটন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে প্রায় বছরখানেক। ততদিন সেই হেলিকপ্টারের জন্য দেওয়া অগ্রিম টাকার কী হবে সেই ভেবেই মাথায় হাত ট্যুর এজেন্টদের।

    সিউড়ির একটি ট্রাভেল এজেন্সির কর্ণধার উদ্দীপ্ত ঘোষ বলেন, ‘প্রায় ৫২০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে বৈষ্ণোদেবী মন্দির। ট্রেকিং করে যেতে গেলে হাঁটতে হয় প্রায় ১৩ কিমি । তাই কাটরা থেকে বৈষ্ণোদেবী মন্দির যাওয়ার জন্য পর্যটকদের প্রায় ২০-২৫ শতাংশই নির্ভর করেন হেলিকপ্টারের ওপর । কিন্তু, পহেলগামে হামলার ঘটনার পর থেকে বাতিল হয়েছে কাশ্মীরের সমস্ত বুকিং। আর এতেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের মতো ট্রাভেল এজেন্টদের। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি ফের আগের মতো না হলে পর্যটকরা না যাবেন না আর হেলিকপ্টার বুকিংয়ের টাকাটা আমরা কোনভাবেই তুলতে পারবো না।’

  • Link to this news (এই সময়)