পাসপোর্ট তৈরিতে সক্রিয় জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরির চক্র। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভাতাড় থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবারই এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার আরেক জন ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত শেখ হাসানাত জামানকে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে আদালত তাঁকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগে ভাতাড় থানা এলাকার এক মহিলা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদন করার সময় অন্যান্য নথিপত্রের পাশাপাশি জন্ম শংসাপত্রও তিনি জমা দেন। জমা দেওয়া সেই নথি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ভাতাড়ের DIB দপ্তরে। জানা গিয়েছে, নথি পরীক্ষা করার সময়ই জন্ম শংসাপত্রটি দেখে সন্দেহ হয় DIB দপ্তরের। এর পর তাঁরা সেই শংসাপত্রটি ভেরিফিকেশনের জন্য পাঠান বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে। সেখানে ভেরিফিকেশন করতেই দেখা যায় গোড়ায় গণ্ডগোল। শংসাপত্রটি জাল বলে জানান তাঁরা। এর পরই ভাতাড় থানায় অভিযোগ দায়ের করে গোয়েন্দা দপ্তর।
ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার একজন মহিলাকে গ্রেপ্তার করে ভাতাড় থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্তের কাছ থেকে পুলিশ জাল শংসাপত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে। শনিবার অভিযুক্তকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে নির্দিষ্ট কিছু শর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে বর্ধমান আদালত। জানা গিয়েছে, সপ্তাহে একদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরার পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ নষ্ট না করার শর্তে অভিযুক্ত মহিলাকে জামিন দিয়েছে আদালত।
এর পর অভিযুক্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি শেখ হাসানাত জামানের নাম জানান। জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে রবিবার অভিযুক্ত শেখ হাসানাত জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শেখ হাসান ওই মহিলাকে জাল জন্ম শংসাপত্রটি তৈরি করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার পাটনা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শেখ হাসানাত জামানকে। কিন্তু কী ভাবে এই জাল জন্ম শংসাপত্রটি বানানো হয়েছিল, এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই সব তথ্য জানতে ফের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ধৃতের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।