আলিপুরদুয়ার পাচ্ছে সুইমিং পুল, তিন কোটি বরাদ্দ করল এনবিডিডি
বর্তমান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে আলিপুরদুয়ার জেলায় এই প্রথম আধুনিকমানের সুইমিং পুল তৈরি হতে চলেছে। প্রস্তাবিত এই সুইমিং পুলের জন্য প্রাথমিকভাবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেছে। সুইমিং পুলটি হবে আলিপুরদুয়ার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়ায় ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিউট হলের জমিতে। সুইমিং পুল তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দের খবর চাউর হতেই রবিবার খুশির হাওয়া ছড়ায় জেলাবাসীর মধ্যে।
এদিন সকালে আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক দেবব্রত রায়কে সঙ্গে নিয়ে বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বাবুপাড়ায় ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিউট হলের জমি পরিদর্শন করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে প্রাথমিকভাবে সুইমিং পুলের জন্য ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হলেও সুইমিং পুলটি তৈরিতে মোট খরচ হবে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আলিপুরদুয়ারে সুইমিং পুল তৈরি করতে প্রাথমিকভাবে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বৈদ্যুতিক সংযোগ সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজের জন্য এবং পরিকাঠামো তৈরিতে খরচ হবে পাঁচ কোটি টাকার মতো। সাঁতার প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে আলিপুরদুয়ারে এই সুইমিং পুল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, আলিপুরদুয়ারে অনেকদিন ধরে আধুনিক মানের সুইমিং পুল তৈরির দাবি ছিল। কিন্তু সেই দাবি এতদিন কাগজে-কলমেই ছিল। অবশেষে সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হচ্ছে। সুইমিং পুলের অর্থ বরাদ্দের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে ধন্যবাদ জানাই।
মন্ত্রী বলেন, আলিপুরদুয়ারের সুইমিং পুলের কাজের টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক বা দেড় মাসের মধ্যেই সুইমিং পুলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে।
১৯১৭ সালে তৈরি হয় আলিপুরদুয়ারের ঐতিহ্যবাহী ম্যাকউইলিয়াম ইনস্টিটিউট হল। ইংরেজ ম্যাকউইলিয়াম সাহেবের নামেই হলঘরটির নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরে হলঘরটি ও হলঘরের জমি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সেই পরিত্যক্ত হলঘর পরে সিনেমা হলের জন্য সরকারিভাবে লিজ দেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরে সিনেমা হলটিও বন্ধ হয়ে যায়।
ঝোপঝাড়ে ঢেকে যাওয়া জরাজীর্ণ সেই সিনেমা হল ও হলঘর চত্বরে সন্ধ্যা নামলেই সমাজবিরোধীদের মদ ও জুয়ার আসর বসত। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ আন্দোলনও চালিয়ে যান। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে সুইমিং পুলের জন্য অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় তাই সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই। সুইমিং পুল তৈরির জন্য প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শনে মহকুমা শাসক দেবব্রত রায়, বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। - নিজস্ব চিত্র।