বাঁকুড়ায় এমপি কাপের সূচনা সৌরভের, বিষ্ণুপুরে দেখা করলেন অন্ধ ভক্তের সঙ্গে
বর্তমান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া ও সংবাদদাতা বিষ্ণুপুর: রবিবার বাঁকুড়ায় এমপি কাপ টি-২০ নকআউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতার সূচনা করেন প্রাক্তন ভারতীয় দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধ ময়দানে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খেলার মূল উদ্যোক্তা বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, জেলাশাসক সিয়াদ এন, পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিএবি ও বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌরভ করমর্দন করে শুভেচ্ছা জানান। সৌরভ বলেন, ফুটবল, ক্রিকেট ও অ্যাথেলেটিক্সে জেলার ছেলেমেয়েদের সাফল্যের হার ভালো। সিএবি জেলাস্তরে খেলাধুলোর জন্য সহযোগিতা করে থাকে। জেলাস্তর থেকে উঠেও অনেকে রাজ্য ও জাতীয়স্তরে খেলার সুযোগ পান। সাংসদের এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় জঙ্গলমহলের ক্রিকেটাররা উৎসাহিত হবে।
সাংসদ বলেন, মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করেছে। সৌরভ ও আমি ব্যাটে বল মেরে খেলার সূচনা করেছি। এদিন বাঁকুড়া মিউিনিসিপ্যালিটি কিংস ও বাঁকুড়া নাইট রাইডার্সের মধ্যে খেলা হয়। এদিন এমপি কাপের সূচনার পর সৌরভ তাঁর অন্ধ ভক্ত বিষ্ণুপুরের মানস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। এতে আপ্লুত মানস, তার মা ও বাবা। স্বয়ং দাদাকে নিজেদের পাড়ায় দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। এদিন সন্ধ্যায় সৌরভ কলকাতার যাওয়ার পথে বিষ্ণুপুরের মানসের পাড়ায় আসেন। যদিও সরু এবং ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য দাদার গাড়ি মানসের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। গাড়ির কাছে ডেকে নিয়ে সৌরভ মানসের বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সৌরভ বলেন, মানস আমার খুব প্রিয়। বাঁকুড়া থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে মানস ও তার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করলাম। খুব ভালো লাগল।বিষ্ণুপুর শহরের ভগৎ সিং মোড়ের বাসিন্দা ৩০ বছরের মানস বলেন, দাদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরেই যোগাযোগ। আমি দাদাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। দাদা আমার অভিভাবক। তাই দাদাকে একবার বাড়ি আসার জন্য আবদার করেছিলাম। তিনি কথা রেখেছেন। এতে আমি ভীষণ খুশি।
মানসের বাবা নিতাই চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার ছেলেকে সৌরভ খুব ভালোবাসে। কিন্তু, তিনি আমাদের এখানে আসবেন সেটা কল্পনাও করতে পারিনি।
মানসের মা চন্দনা চট্টোপাধ্যায় বলেন, সৌরভের জন্য সুগার ফ্রি মিষ্টি এনে রেখেছিলাম। রাস্তা খারাপের জন্য তিনি বাড়িতে আসতে পারলেন না। তবে তিনি আমাদের ডেকে নিয়ে গাড়িতে কথা বলেছেন। এতে আমরা ভীষণ খুশি।