• আরও এক বাড়িতে বিস্ফোরণ ভাঙল দেওয়াল, পুরুষরা পলাতক
    বর্তমান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: হাতোড়া পঞ্চায়েতের আকুড্ডিতে বোমা বিস্ফোরণ। রবিবার বিকেলে বোমা বিস্ফোরণে শেখ লালবাবুর বাড়ির একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। সাঁইথিয়া থানার পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, বাড়ির ভেতরেই বোমা মজুত ছিল। সেই বোমা বিস্ফোরণের জেরেই মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ঘটনার পর থেকে বাড়ি পুরুষ শূন্য হওয়ায় পুলিসের সন্দেহ জোরালো হতে শুরু করেছে। পুলিস ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, বাড়ির মালিকের ভূমিকায় সন্দেহ রয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ফরেন্সিক এক্সপার্ট তলব করা হয়েছে। 

    গত সপ্তাহের শুক্রবার হাতোড়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সিজাতে বোমা বিস্ফোরণের জেরে একটি বাড়ির সীমানা পাঁচিলের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিলেন, ভোর নাগাদ কেউ বা কারা বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। যদিও পুলিসের অনুমান, বাড়িতে মজুত বোমা ফেটেই ওই ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় পুলিস তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করেছে। এরই মাঝে আরও একটি বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনায় একজন জখম হয়েছেন। যদিও এনিয়ে পুলিসের তরফে স্পষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিস কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, ঘরের ভেতরেই বোমা মজুত ছিল। যদিও পরিবারের দাবি, বাড়ি লক্ষ্য করে কেউ বা কারা বোমা ছুড়েছিল।

    দু’টি ঘটনাতেই পুলিসের অনুমান, বাড়ির ভেতরে বোমা মজুত করে রাখা ছিল। প্রশ্ন উঠছে পুলিসি নজর এড়িয়ে এলাকায় কীভাবে বোমা ঢুকছে? বাড়িতে বোমা মজুতের পিছনে কি বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? আপাতত পুলিস এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই বাড়িতে সুতলি বোমা মজুত ছিল। তবে সংখ্যায় কতগুলি, তা স্পষ্ট নয়। বাড়ির মালিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিস। 

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি পুলিসের শীর্ষ কর্তারা জেলায় বোমা মজুতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সেই আশঙ্কায় ভর করেই জেলাজুড়ে তল্লাশি অভিযানও শুরু হয়। একাধিক জায়গা থেকে বোমাও উদ্ধার হয়েছে। গত শনিবারও দুবরাজপুর থানার পুলিস সীমানা পাঁচিল ঘেরা জমি থেকে প্রায় ৭৫টি বোমা উদ্ধার করেছিল। বম্ব স্কোয়াডের তরফে ওইদিনই সেসব নিষ্ক্রিয় করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির নীচে পৃথক দু’টি প্লাস্টিকের জারে বোমাগুলি মজুত করে রাখা ছিল। ঘটনায় পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন, জেলায় আর কোথায় ও কত বোমা মজুত রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)