• দেউচা পাচামির পুনর্বাসিত গাছে নতুন পাতার হাতছানি, উচ্ছ্বাস
    বর্তমান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্প এলাকা থেকে পুনর্বাসিত গাছগুলিতে নতুন পাতা দেখা দিয়েছে। উচ্ছ্বসিত প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, প্রকল্প এলাকার পাঁচশোর বেশি গাছ স্থানান্তরিত করেছে জেলা প্রশাসন। স্থানান্তরের পরেও ১০০ শতাংশ গাছ জীবিত রয়েছে এবং তাতে নতুন পাতাও গজাতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নানা ভাবে জমিদাতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এও প্রচার করা হয়েছিল যে, গাছ পুনর্বাসন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজ্যের বিরোধী দল নেতা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, পুনর্বাসিত গাছগুলি নাকি মারা গিয়েছে। তাঁকে মুখের মতো জবাব দিয়েছে প্রকৃতি। প্রথম দফায় গাছ পুনর্বাসন হওয়ার পর সেই গাছে এখন নতুন পাতা গজাতে শুরু করেছে। তারপর ফের দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছিল পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া। 

    জেলা প্রশাসনের দাবি, প্রথম দফার গাছ প্রতিস্থাপন বা পুনর্বাসন সফল হওয়ার ফলেই দ্বিতীয় দফার কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার অবধি ৫১২টি গাছ পুনর্বাসন করা হয়েছে। শেষ অবধি পুনর্বাসিত একটি গাছও এখনও মারা যায়নি। এই প্রকল্প বন্ধ করতে বিরোধীদের একের পর চক্রান্ত নস্যাৎ করেছে প্রশাসন। প্রকৃতিও সহায় হচ্ছে। বীরভূমের মতো খরা প্রবণ এলাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই তাপমাত্রাতেও গাছগুলি সফলভাবে পুনর্বাসিত করা গিয়েছে। মোট ৯৮০টি গাছের মধ্যে ৫১২টি সরানো হয়েছে। অর্থাৎ জঙ্গলের অর্ধেকেরও বেশি গাছ সুস্থ ভাবে সরানো হয়েছে। 

    দেউচা পাচামি প্রকল্প এলাকার চাঁদা মৌজায় মহুয়া গাছের বহু প্রাচীন একটি জঙ্গল রয়েছে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী সেখানে ৯৮০টি পূর্ণবয়স্ক মহুয়া গাছ রয়েছে। সেই জঙ্গলটি যাতে ধ্বংস না করা হয়, তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে প্রশাসন জঙ্গলটি না কেটে গাছগুলিকে কিলোমিটার তিনেক দূরে একটি জায়গায়  পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী গত কয়েক মাস ধরে এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। প্রশাসনের দাবি প্রথম দফায় ১৮৫টি মহুয়া গাছ প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এই কাজ আদৌ কতটা ফলপ্রসু হয়েছে তা নজর রাখার জন্য সাময়িক কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। একটি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে সেই এজেন্সি গাছের প্রতিস্থাপন করার পর দেখা যায় সেই গাছগুলিতে নতুন পাতা গজাতে শুরু করেছে। তারপর শুরু হয় দ্বিতীয় দফার প্রতিস্থাপন। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ওখানে প্রথম দফার গাছ পুনর্বাসন সফল হয়েছে। প্রতিস্থাপিত গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে। দ্বিতীয় দফাতে এখনও 

    অবধি ৫১২টি গাছ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি গাছ 

    সুস্থ। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)