• ফেসবুকে ভিউজ বৃদ্ধি, আয়ের টোপ, ১৬ লক্ষ টাকা প্রতারণা
    বর্তমান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: মাত্র সাত দিন। তার মধ্যে ১৬ লক্ষ টাকার প্রতারণা। কখনও ফেসবুকে ভিউজ বাড়ানোর টোপ, কখনও ফেসবুক থেকে আয়, কখনও আবার প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার টোপ। এক যুবকের ফাঁদে পা দিয়ে সল্টলেকের এক মহিলা প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে অবশেষে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। ধৃত যুবক নাসির মল্লিক ওরফে সাহেবকে জেরা করে পুলিস জানতে পেবেছে, প্রতারণার টাকায় সে একটি আইফোন, ল্যাপটপ কিনেছে। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত মহিলা সল্টলেকের বাসিন্দা। তাঁর একটি ফেসিয়াল ডায়গনিস্টিক সেন্টার রয়েছে। কিছুদিন আগেই সাহেবের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ওই ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে কম্পিউটার ও মেশিনপত্র রয়েছে। সেগুলির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় যুবক। তার জন্য মোটা অঙ্কের টাকাও নেয়। তারপর ওই মহিলার ফেসবুক দেখে তিনি বলেন, কিছু টাকা খরচ করলেই ভিউজ বেড়ে যাবে। এমনকী, অন্যান্য গ্রাহকরা ফেসবুক খুললেই তাঁর অ্যাকাউন্ট প্রথমে দেখতে পাবেন। ফলে, ভিউজ বেড়ে যাবে। এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে। সেই টোপ দিয়েও সে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়।

    তারপর একদিন মহিলাকে বলে, আপনার ফেসবুক থেকে আয় শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রচুর টাকা জমে রয়েছে। ওই টাকা তুলতে গেলে নাকি কিছু টাকা জমা করতে হবে। মহিলা তার টোপে পা দিয়ে ফের টাকা দেন। এভাবে মাত্র সাতদিনে নানাভাবে টোপ দিয়ে ওই যুবক প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সাহেব মোবাইল বন্ধ করে দেয়। মহিলা বার বার ফোন করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তখন তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর তিনি বিধাননগর উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    থানার সঙ্গে বিধাননগরের গোয়েন্দা শাখাও তদন্তে নামে। চারদিন আগে ভবানীপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের আসল বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলায়। পুলিস জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত যুবক কতজনের সঙ্গে এই ধরনের প্রতারণা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)