• সুপারি কিলার সুশীলকে জেরার জন্য বিহারের জেল থেকে আনা হল কলকাতায়
    বর্তমান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কসবায় বোরো চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত বিহারের সুপারি কিলার সুশীল কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতায় নিয়ে এল লালবাজার। হাজিপুর জেলে বন্দি এই অভিযুক্ত বিহারে একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত। কসবায় হামলার জন্য সুশীল কত টাকা পেয়েছিল, তা জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    তদন্তে উঠে এসেছে, সুশান্তকে নিকেশ করতে বিহার থেকে যে টিম শহরে এসেছিল তাতে ছিল সুশীল কুমার। এই ঘটনায় ধৃত অন্য অভিযুক্তরা জেরায় সুশীলের উপস্থিতির কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার পর সে বিহারে পালিয়ে যায়। তদন্তকারীদের কাছে খবর, সুশীলের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রী গুলজারের পরিচয় অনেক আগে থেকেই। অতীতে সুশীলের গ্যাং বিহারে অপরাধ করে একাধিকবার গুলশান কলোনিতে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল গুলজার। সুশান্ত ঘোষকে খুনের ছক কষার পর সুশীলকে আনা হয়েছিল কলকাতায়। সে শহরে এসে গুলজারের সঙ্গেই কসবায় রেকি করেছিল। গুলজারই সুশান্ত ঘোষের ছবি দেখিয়ে চিনিয়ে দিয়েছিল এই সুপারি কিলারকে। ‘ডিল কনফার্ম’ হওয়ার পর সে বিহারে ফিরে যায়। এরপর সুপারি টিমের লোকজন নিয়ে অপারেশন করতে শহরে আসে সে। তারা এসেছিল ঘটনার একদিন আগে। উঠেছিল গুলজারের ডেরায়। হামলার পর গুলজারই তাকে নিরাপদে বিহারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।

    জানা গিয়েছে, বিহারে ফিরে গিয়ে দলবল নিয়ে সেখানে ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল সুশীল। এই খবর আগাম জেনে যাওয়ায় বিহার পুলিসের অফিসাররা তাকে ধরতে যান। সেই সময় পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি করে অভিযুক্ত। পুলিসও পাল্টা গুলি চালালে তার পায়ে লাগে। সুশীলকে গ্রেপ্তার করে বিহার এসটিএফ। তারপর থেকেই হাজিপুর জেলে বন্দি ছিল সে। তাকে পাকড়াওয়ের খবর লালবাজারের কাছে আসার পর কলকাতা পুলিসের অফিসাররা তাকে বিহারের জেল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন। কলকাতায় সে আর কোনও অপরাধ করেছে কি না, তাকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)