• এশিয়ান ইক্যুইপড পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতা হাওড়ার কিশোরী স্নেহা
    বর্তমান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: এশিয়ান ইক্যুইপড পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে (জুনিয়র) দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুবর্ণ সুযোগ। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক টানাটনি। প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা স্নেহা ঘড়ামি। অবশেষে সমস্যার সমাধান। ২ মে উত্তরাখণ্ড রওনা দেবেন স্নেহা।

    স্নেহার বাবা উত্তম ঘড়ামি ফল বিক্রি করেন। সে সামান্য টাকায় কোনওভাবে সংসার চলে। গত সাত বছর ধরে পাওয়ায় লিফটিং করছেন স্নেহা। শ্রীরামপুর কলেজ থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনাও করছেন। ২০২৩ সালে এশিয়ান ইক্যুইপড পাওয়ার লিফটিং সাব জুনিয়ার পর্যায়ে চারটি সোনা জিতেছিলেন। ২০২৪ সালে দিল্লিতে ফেডারেশন কাপেও চারটি সোনা। ওই একই বছরে ন্যাশনাল জুনিয়র পর্যায়ে তিনটি সোনা ও একটি রুপো জেতেন। তাঁর সামনে এবার এশিয়ান ইক্যুইপড পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপ (জুনিয়র), ২০২৫। ৬ থেকে ১২ মে দেরাদুনে চীন, কাজাখিস্তান, উজবেকিস্তান, ইরান, ইরাকের মতো এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা ভারতের স্নেহার। ৭৬ কেজি বিভাগে লড়বেন তিনি। 

    চ্যাম্পিয়নশিপে এন্ট্রি ফি’র জন্য প্রয়োজন ছিল ৭০ হাজার টাকা। সোনার পদকের স্বপ্ন মেয়ের সামনে হাতছানি দিলেও সামর্থ্য ছিল না উত্তমবাবুর। বেশ কিছু জায়গা থেকে এন্ট্রি ফি’র অধিকাংশ টাকা সাহায্য হিসেবে পেয়েছেন স্নেহা। কিন্তু বাকি টাকা জোগাড় করতে পারেননি। সঙ্কট ক্রমে ঘনিয়ে আসছিল। তাঁর সমস্যার কথা জানতে পেরে পাশে দাঁড়ান হাওড়া যুব তৃণমূলের সভাপতি কৈলাস মিশ্র। এন্ট্রি ফি’র পঁচিশ হাজার টাকা শনিবার স্নেহাকে দিয়েছেন। কৈলাসবাবু বলেন, ‘বাংলার মেয়ে দেশকে গর্বিত করবে। আগেও আমি ওঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আগামীতেও থাকব।’ স্নেহা বলেন, ‘পাওয়ার লিফটিংয়ের ড্রেস থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ খরচসাপেক্ষ। বাবার পক্ষে তা জোগাড় করা কঠিন ছিল। এবার আমি লড়তে পারব। আগামী দিনে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে নামতে 

    চাই।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)