প্রদীপ চক্রবর্তী, চন্দননগর
আলোক শিল্পে বিশ্বজোড়া খ্যাতি সাবেক ফরাসডাঙা চন্দননগরের। এ বারে অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে চন্দননগরের আকর্ষণীয় আলোর ছটা ফরাসডাঙার শিল্পীদের মুকুটে নতুন পালক যোগ করবে।
উদ্বোধনের দিন আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এসএমডি আলোয় ভাসবে মন্দির থেকে সুমদ্র সৈকত। এ ছাড়া দিঘার প্রবেশদ্বার থেকে জাহাজবাড়ি পর্যন্ত তৈরি হবে ৮টি বড় আলোর গেট। থাকবে প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রার নানা ধরনের গ্লোসাইন বোর্ড দিয়ে তৈরি চোখ ধাঁধানো আলো। মায়াবি আলোর রোশনাইতে আরও মনোরম হয়ে উঠবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির ও সমুদ্রতটের পরিবেশ।
চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা জানিয়েছেন, প্রায় এক মাস ধরে দিঘার মন্দির, গেট, সুমদ্র, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ঘুরে সমীক্ষা করেছেন আলোকশিল্পীরা। কী ধরনের আলো ব্যবহার করা হবে, সেই সব বিষয়গুলি নিশ্চিত করা হয়।
পাশাপাশি, কী ভাবে আলোকে আরও সুন্দর করে সবার সামনে ফুটিয়ে তোলা যায়, সেই বিষয়েও বিস্তর পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে আলোর ব্যবহার সুনিশ্চিত করেন আলোক শিল্পীরা। দিঘা জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ও সুমদ্র সৈকত আলোময় করার মূল দায়িত্ব বর্তেছে চন্দননগরের আলো হাব–এর শিল্পী জয়ন্ত দাসের উপরে।
এ দিন জয়ন্ত বলেন, ‘আধুনিক চিপনির্ভর এসএমডি আলো, যেটা এলইডি আলোর তুলনায় অনেক বেশি উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, সেই আলো দিয়েই দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দির সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া দেবদেবীর বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীক, রথের চূড়া, প্রভূর কপালের তিলক, ধর্মচক্রকে গ্লোসাইন বোর্ড দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে কাজ চলছে। ১৮ তারিখ থেকে কাজের চাপ বেড়েছে। প্রায় ২৫০ জন শিল্পী এখানে এক নাগাড়ে কাজ করছেন।’
জয়ন্ত জানান, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের মান–মর্যাদা বেড়েছে। আলো হাব তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী আলোকশিল্পীদের ভাবাবেগকে মার্যাদা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গর্বিত দিঘার জগন্নাথ মন্দির–সজ্জার সাক্ষী হতে পেরে।’