এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত নির্দেশ কেন মানা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে মামলারটির শুনানি ছিল সোমবার। বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চই নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তাদের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে যে অবমাননার মামলা হয়েছে, সেই মামলায় রাজ্য ও SSC-র যুক্তি শোনা হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১ মে।
গতবারের শুনানিতে রাজ্য জানিয়েছিল, এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ এই মামলার রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। সেই কারণে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা উচিত মামলাকারীদের। যদিও পাল্টা মামলকারীদের আইনজীবী জানান, হাইকোর্টের নিজস্ব অধিকার রয়েছে অবমাননার মামলা শোনার।
সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কলকাতা হাইকোর্টে জানান, কেরালা হাইকোর্টের রায় এবং দিল্লি হাইকোর্টের একটি মামলার ক্ষেত্রে আদালত অবমাননার মামলা শুনেছিল, যেখানে উচ্চ আদালতের নির্দেশের অবমাননা হয়। যদিও হাইকোর্ট জানায়, সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে।
শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, তাদের আদেশ না মানা হলে অন্য পদক্ষেপ করা হবে। তা হলে এই আদালত (হাইকোর্ট) সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি নিয়ে কেন বিবেচনা করবে? মামলাকারীদের আইনজীবী এ দিন যে যুক্তি দেন, তার পাল্টা রাজ্য ও এসএসসির বক্তব্য আগামী শুনানির দিন হাইকোর্ট শুনবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল এসএসসি ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন নিয়োগের জন্য নোটিস দিতে হবে এসএসসিকে। ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের বেতন ফিরে দিতে হবে।