• পহেলগামকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে ব্যবহার করছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ করছে ভারত। ভিসা বাতিল থেকে শুরু করে সিন্ধু চুক্তি প্রত্যাহার, ভারতের একের পর এক সিদ্ধান্ত কোণঠাসা ইসলামাবাদ। এহেন পরিস্থিতি বিজেপির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। তাঁর অভিযোগ, পহেলগাম হামলাকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে ব্যবহার করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগও তুলেছেন সাকেত।

    এক্স হ্যান্ডলে সাকেত লিখেছেন, ‘মোদী সরকারের দাবি, প্রতিবেশী দেশ থেকে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। সত্যি হলো, মাত্র ৩৫০ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন ভিসা বাতিলের ফলে ২০১৪ সালের পর পাকিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের সে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। পাকিস্তানি হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও পার্সি, যাঁদের অমিত শাহ সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তাঁদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে অথবা জেলে পাঠানো হবে।’

    মোদী সরকারকে আক্রমণ করে সাকেত লেখেন, ‘ওয়াকফ আইনের মতো, সিএএ-ও মোদী সরকার সংখ্যালঘুদের টার্গেট করতে এবং আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার জন্য এনেছিল। আর বিজেপি এখন পহেলগামের জঙ্গি হামলার পর সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার পরিবর্তে ঠিক একই কাজ (সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা) করার জন্য ব্যবহার করছে।’

    প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হল ভারতের একটি আইন যা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান ধর্মের কিছু অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের সুযোগ করে দেয়। সিএএ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে এবং বিশেষভাবে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই আনা হয়েছে।

    অন্যদিকে ওয়াকফ সম্পত্তি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ সংশোধনী আইন চালু করেছে। সিএএ এবং ওয়াকফ সংশোধনী আইন, এই দুইয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)