নন্দন দত্ত, বীরভূম: টানা তিনদিন ধরে বোমা উদ্ধার বীরভূমে। সোমবার সকালে সাঁইথিয়ায় খড়ের গাদা থেকে ফের বোমা উদ্ধার হল। এদিন প্লাস্টিকের ড্রামের ভিতর ১০টি তাজা বোমা পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ধারাবাহিকভাবে বোমা উদ্ধার হচ্ছে! কোনও বড় ছক কষছে দুষ্কৃতীরা? সেই প্রশ্নও উঠেছে ওয়াকিবহাল মহলের।
শুক্রবারও এই পঞ্চায়েতের দক্ষিণ সিজা গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সিজা গ্রামে শেখ ফিরোজের বাড়িতে ওই বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। গতকাল রবিবার আকুডিহি এলাকায় শেখ ইমামউদ্দিনের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠেছিল ওই এলাকা। পুলিশ দুটি ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলেই খবর। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এদিন ফের বোমা উদ্ধার হল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারের বিস্ফোরণের পরই এদিন সকাল থেকে ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়। মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে ওই এলাকায় বোমার খোঁজে নামে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তার থেকে কয়েক’শো মিটার দূরেই এই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়। এলাকার খড়ের গাদার মধ্যে একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে বোমা দেখতে পাওয়া যায়। বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ড্রাম থেকে উদ্ধার হয় কমপক্ষে ১০টি তাজা বোমা।
গ্রামে আর কত বোমা মজুত করা আছে? কে বা কারা এই বোমা মজুত করছে? সেই প্রশ্ন উঠছে। ভোটের আগে কি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বীরভূম? দুষ্কৃতীরা কি ওইসব এলাকায় কোনও ছক কষছে? সেসব প্রশ্ন উঠছে। কারা ওই বোমা রেখেছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানোর পরিকল্পনাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে হচ্ছে বলে খবর। টানা তিনদিন ধরে বিস্ফোরণ ও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বোমা উদ্ধারের জেরে এনআইএর তদন্তের দাবিতে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।