রঞ্জন মহাপাত্র, দিঘা: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক ঘণ্টা। বাংলার সৈকত শহর দিঘা হয়ে উঠতে চলেছে শ্রীক্ষেত্র দিঘা। বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে উদ্বোধন হবে জগন্নাথধামের। সোমবার দুপুরেই দিঘা পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কপ্টার থেকে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, আধ্যাত্মিকতার টানে দিঘার পর্যটনে আরও বিকাশ ঘটবে। শুধু বেড়াতে নয়, এবার থেকে পুণ্যার্থীরাও ভিড় করবেন দিঘায়। তীর্থযাত্রা ঘিরে নতুন মাত্রা পাবে পর্যটন ব্যবসা। এরপরই তাঁর কথায় উঠে এল সম্প্রীতি, শান্তির বার্তা। মনে করালেন জগন্নাথপ্রেমে শ্রীচৈতন্যের সমুদ্রপথে লীন হয়ে যাওয়ার ইতিহাস। জানালেন, এদিন তিনি নবনির্মিত মন্দিরটি ভালোভাবে ঘুরে দেখবেন। বুধবার দুপুরে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন।
সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ কপ্টারে দিঘা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ? চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু। রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টের সদস্য রাধারমণ দাস। এদিন হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে দিঘার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে শান্তি, সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘জগন্নাথধামে যাচ্ছি। সবাই নিজেদের মধ্যে ঐক্য-সম্প্রীতি-শান্তি বজায় রেখো। ভালো থেকো।’’
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এই সমুদ্রের পাড়েই শ্রীচৈতন্যদেব জগন্নাথদেবের প্রেমে লীন হয়ে গিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস আমাদের বাংলারই। সমুদ্রের তীরে তাই জগন্নাথ মন্দিরের অবস্থান। এখানে এবার একটা আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তার টানে শত শত ভক্ত এখানে আসবেন বলে আমরা মনে করছি। মিলে যাবে আধ্যাত্মিকতা আর পর্যটন। খুব তাড়াতাড়ি যাঁরা এই মন্দির বানিয়ে দিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি এবার ঘুরে দেখবে মন্দিরটা। খুব সুন্দর স্থাপত্যকীর্তি রয়েছে এখানে। মন্দির উদ্বোধনের আগে এক সপ্তাহ ধরে যজ্ঞ চলছে। বুধবার দুপুর আড়াইটে থেকে তিনটের মধ্যে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হবে। তারপর সকলে দেবতার দর্শন পাবেন।”
দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে একেবারে উৎসবের পরিবেশ। নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। আশপাশের জেলা থেকেও পুলিশকর্মীদের আনা হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন জাতীয় সড়কে আজ থেকেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।