• তালিকায় নাম নেই কেন? মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে কালীঘাট অভিযানের ডাক ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের
    প্রতিদিন | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • বিধান নস্কর: কালীঘাট অভিযানের ডাক দিলেন ‘যোগ্য’ তালিকায় জায়গা না পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় এসএসসি ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তাতে বিলম্ব ঘটে। ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রথমে মিছিল পৌঁছবে হাজরা মোড়ে। সেখান থেকে তাঁরা যাবেন কালীঘাটে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে কলকাতায় নেই। তিনি রয়েছেন দিঘায়। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে চাকরিহারাদের এখনও কোনও কথাবার্তা হয়নি। এই অভিযানের জন্য আগাম পুলিশের কোনও অনুমতিও দেওয়া হয়নি। ফলে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।    

    উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুর দু’টো নাগাদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করার দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে পৌঁছে যান ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা। তবে ব্রাত্যর বাড়ির ১০০ মিটার দূরেই তাঁদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় লেকটাউন থানার পুলিশ। এরপরই তাঁরা সেখানে ধরনায় বসে পড়েন। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, শিক্ষামন্ত্রী বাড়িতে নেই। অন্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি দেখা করতে পারবেন না। এরপরই তাঁরা সেখান থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন। জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁরা কালীঘাটে যাবেন। সেই কথামতো সোমবার দুপুরেই ‘কালীঘাট অভিযানে’র ডাক দেওয়া হল।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি বহাল থাকবে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের। মিলবে বেতনও। এরপরই তাঁদের একটি তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকাটি ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিভিন্ন ডিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরাই ‘অযোগ্য’ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এঁরা আর কাজ করতে পারবেন না। ফেরত দিতে হবে এতদিনের বেতনও। তাতেই আপত্তি জানিয়ে এসএসসি ভবনের সামনে ধরনায় বসেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারারা। আর আজ তাঁরাই কালীঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছেন।

    এ প্রসঙ্গে চাকরিহারা এক শিক্ষক বলেন, ” আমারা আজ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে যাব। কারণ, আমাদের আর কোনও রাস্তা নেই। আমরা খাদে পড়ে রয়েছি। সমাধান না বেরোলে আমরা আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হবো।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)