• মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরের আগে পুলিশের জালে বিল্লি আর মনি...
    আজকাল | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মুর্শিদাবাদ সফরের আগে ফের একবার সামশেরগঞ্জে থানার অন্তর্গত জাফরাবাদ গ্রামে  বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জঙ্গিপুর পুলিস জেলার সুপার অমিত কুমার সাউ জানান,'নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম আজফারুল শেখ এবং মনিরুল শেখ।' 

    প্রসঙ্গত,মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি জঙ্গিপুরের হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যাবেন। সেই সময় তিনি দোকানদারদের জন্য বিশেষ ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন। এর পাশাপাশি গৃহহীনদের বাংলা আবাস যোজনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে এই দু'জনের গ্রেপ্তারি ধরে জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করল জঙ্গিপুর পুলিশ, এসটিএফ এবং এসআইটির সদস্যরা। 

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে এসটিএফ-র সদস্যরা ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের কাছে সরাইকেলা এলাকায় একটি গোপন ডেরায় অভিযান চালায়। সেখান থেকেই আজফারুল শেখ ওরফে বিল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।অন্যদিকে এসটিএফ-এর অপর একটি দল বীরভূমের রামপুরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনিরুল ওরফে মনিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত দু'জনেরই বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার শুলিতলা এলাকায়। 

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বেদবোনা গ্রামে গত ১২ তারিখে যে গন্ডগোল হয়েছিল সেখানে আজরাফুল উন্মত্ত জনতাকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এর পাশাপাশি সে নিজে জাফরাবাদ গ্রামে দাঁড়িয়ে থেকে বাবা ও ছেলে দু'জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করেছিল।  অন্যদিকে মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যে দুষ্কৃতি দল বাবা ছেলেকে খুন করেছিল তাদের নেতৃত্বে সে নিজে ছিল। দু'জনের বিরুদ্ধে খুন ছাড়াও এলাকায় একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের অভিযোগ রয়েছে।

    পুলিশ সুপার জানান, জঙ্গিপুরের অশান্তির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট ১৮৬ টি মামলা রুজু করা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামগুলোতে একাধিক পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের  লিখিত অভিযোগ জমা করতে পারছেন। তিনি আরও বলেন,'অশান্তির ঘটনায় যারা জড়িয়ে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান জোগাড়ের কাজ চলছে। সমস্ত দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে কঠোর আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

    অন্যদিকে, সামশেরগঞ্জে অশান্তির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন পরিবার এবং দোকানদারকে সোমবারও ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন এলাকার বিশিষ্ট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ফরাক্কার তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন,' যে আর্থিক তহবিল তৈরি করা হয়েছে সেখান থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০ দোকানদার এবং গৃহহীন মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আজ ঘোষপাড়া এলাকায় বহু মানুষকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে। '

    তিনি জানান,' নতুন করে আরও প্রায় ৫০ জন ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের তরফ থেকে যে আর্থিক তহবিল করা হয়েছে সেখান থেকে তাদের সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।'
  • Link to this news (আজকাল)