• বাঁকুড়া থেকে ৩০০৩টি পদ্ম আর শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝর্নার জল যাচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে
    আনন্দবাজার | ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • মাঝে মাত্র আর একটি দিন। বুধবারই উদ্বোধন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। সেই মন্দিরে পুজোর জন্য সোমবার বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে দিঘার উদ্দেশে পাঠানো ৩০০৩টি পদ্ম ফুল এবং শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝর্ণার জল। সৌজন্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নেতৃত্বের দাবি, এই ফুল ও জলেই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে জগন্নাথের। বিজেপির কটাক্ষ, দেরিতে হলেও বোধোদয় ঘটেছে তৃণমূলের। ঠেলায় পড়ে এখন পদ্মফুল নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন শাসকদলের নেতারা।

    বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝর্ণার জলকে পবিত্র বলে মনে করেন রাঢ় বাংলার মানুষ। শ্রাবণ মাসে দূর-দূরান্তের লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী ও ভক্তেরা শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝর্ণার জল সংগ্রহ করে তা তারকেশ্বর, ষাঁড়েশ্বর, এক্তেশ্বর-সহ বিভিন্ন প্রাচীন মন্দিরে যান শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য। তা ছাড়া শুধু বাঁকুড়া নয়, আশপাশের জেলাগুলির যেখানেই নতুন মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়, সেখানেই মঙ্গলঘটে করে নিয়ে যাওয়া হয় শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝর্ণার জল। পাশাপাশি ছাতনা থেকে নিয়ে যাওয়া হল সাদা ও লাল রঙের মোট তিন হাজার তিনটি পদ্ম ফুল।

    ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র বলেন, ‘‘বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে মঙ্গলবার থেকে বিশেষ যজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে শুশুনিয়া পাহাড়ের ঝর্ণার পবিত্র জল এবং ছাতনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা পদ্মফুল কাজে লাগবে।’’ কিন্তু পদ্মফুলের সংখ্যা কেন ৩০০৩টি? বঙ্কিম বলেন, ‘‘এর অন্য কোনও কারণ নেই। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে মোট ৩০০৩টি পদ্মফুল সংগ্রহ করতে পেরেছি।’’

    তৃণমূলের এমন উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা বলেন, ‘‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। এখন তৃণমূলও ঠেলায় পড়ে পদ্মফুলের আশ্রয় নিচ্ছে। এ বার তারা বুঝতে পেরেছে, বাংলার মানুষ পদ্মফুলেই স্বস্তি খুঁজছে। তাই এখন পদ্মফুল নিয়ে ছোটাছুটি করতে শুরু করেছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)